দুর্গার বিদায়ে ভক্তদের মাঝে বিষাদের সুর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্গার বিদায়ে ভক্তদের মাঝে বিষাদের সুর

দুর্গার বিদায়ে ভক্তদের মাঝে বিষাদের সুর

ভক্তদের চারদিন আনন্দ-উল্লাসে মাতিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন দেবী দুর্গা।

রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ওয়াইজঘাটে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দেবী প্রতিমাকে বিসর্জন দিতে এই ঘাটে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকের তালে নেচে-গেয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে প্রতিমা নিয়ে ঘাটে আসছেন ভক্তরা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় প্রতিমা বুড়িগঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিসর্জনের জন্য। ঘাট এলাকা ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

শেষদিনে সিঁদুর খেলায় মেতেছিলেন ভক্তরা

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য রজত কুমার বলেন, দুপুর ১২টা থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। কেন্দ্রীয় পূজা বিসর্জনের র‌্যালি সাড়ে ৬টায় এখানে আসতে পারে। এরপর রাত ১টা পর্যন্ত বিসর্জন চলবে বলে আশা করছেন তিনি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে পুলিশ, নৌপুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। নদীতে সব জাহাজ, বাল্কহেড ও ট্রলার চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। নৌ-পুলিশ নদী এলাকায় টহল জারি রেখেছে। এছাড়াও পুরো নদী ফ্লাশলাইট দিয়ে আলোকিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিসর্জনের প্রতিটি নৌকায় একজন করে ডুবুরিও রাখা হয়েছে। কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে তার সব প্রস্তুতি রয়েছে। অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশংসনীয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এ বছর দেবী দোলায় এসে ঘোটকে করে কৈলাসে ফিরে গেলেন। দেবীর আগমন ও প্রত্যাগমন ঘিরে ভক্তদের উৎসাহ আর আনন্দের কমতি ছিল না গত কয়েকদিন। তবে বিদায়ের দিন ভক্তদের মনে ছিল বিষাদের সুর আর চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। তাদের বিশ্বাস প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এ ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে উৎসব।