রংপুরের পীরগাছায় ট্রেনে কাটা পড়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ট্রেনে কাটা পড়া বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া (জিআরপি) রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তালুকদার।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, পীরগাছার চৌধুরাণী-কান্দি সড়ক সংলগ্ন ক্রসিং এলাকায় সকাল ৭টায় লালমনিরহাট-সান্তাহার রেল সেকশনের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালমনিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সকাল ৭টায় চৌধুরাণী-কান্দি রেলক্রসিং অতিক্রম করলে এক বৃদ্ধার ছিন্নভিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জেনারুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা নাগাদ লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোনারপাড়া (জিআরপি) রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছিন্নভিন্ন মরদেহের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পরিচয় নিশ্চিত হলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৩ দিনে ডেঙ্গুতে ৫১ জনের মৃত্যু হলো। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের।
রোববার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৭ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে, চলতি বছরে মোট ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন।
পাশাপাশি কবরে শায়িত হয়েছে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিমরুলের কামড়ে মারা যাওয়া বাবা ও দুই শিশু সন্তান। এ ঘটনায় পরিবার ও স্বজনদের পাশাপাশি শোকে কাতর স্থানীয়রাও।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার পোড়াকান্দলিয়া ইউনিয়নের দুধনই গ্রামে একই সঙ্গে তিনজনের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষের অশ্রুসজল বিদায়ে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পাশাপাশি তিনটি কবরে মৃত বাবা, ছেলে ও মেয়ের দাফন করা হয়।
পোড়াকান্দলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জরুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা আর দেখিনি। একই সঙ্গে এক পরিবারের তিনজনের এক সঙ্গে জানাযা আগে কখনো হয়নি।
তিনি বলেন, অনেক ভালো মানুষ ছিল মাওলানা আবুল কাশেম (৫৫)। অভাব অনটনের মধ্যেও পাঁচ সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিল তাঁর সংসার। কিন্তু ভিমরুলের কামড়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন পরপারে। বতর্মানে তাঁর সংসারে স্ত্রী ছাড়াও আরও দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
মৃত আবুল কাশেমের ভাতিজা মো. মোকসেদুল ইসলাম বলেন, ভাইবোনের মাঝে সবার বড় ছেলে হেদায়েতুল্লাহ। সে কোরআনে হাফেজ হয়ে একটি মাদরাসা শিক্ষকতা করে সংসারে বাবার সঙ্গে হাল ধরেছিল। তার ছোট ভাই এহসানুল্লাহ হাফেজি শেষ করে বতর্মানে মাওলানা লাইনে লেখাপড়া করছে। আর বোনদের মধ্যে বড়জনের ইতোমধ্যে বিয়ে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে চাচা আমার দোকানে বসেছিল। কথা ছিল বাড়ি যাওয়ার আগে আমার ঘরে খেয়ে যাবে। তখন চাচা একটি নৌকায় তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ির পাশে একটু দূর থেকে রান্নার লাকড়ি আনতে যায়। সেখানে বাঁশ ঝাড়ে থাকা একটি ভিমরুলে চাকে হঠাৎ আঘাত লাগে নৌকার লগিতে। এতে ভিমরুল আক্রমণ করলে মারাত্মক ভাবে আহত হয় তারা। এ সময় আমার চাচা তার শিশু সন্তানদের বাঁচাতে নিজের পিঠ পেতে দিয়ে ওদের বুকের নিচের ঝাপটে রেখে ছিলেন। কিন্তু কোনকিছুতেই শেষ রক্ষা হয়নি। পরে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একে একে সবাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনার খবরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন। এ সময় তিনি মৃতদেহ দাফন কাপনের জন্য বিশ হাজার এবং ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক দশ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনে ও রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাওলানা আবুল কাশেম (৫০), মেয়ে লাবিবা আক্তার (৮) ও ছোট ছেলে সিফাতুল্লাহ (৬)।
ধোবাউড়া উপজেলার দুধনই গ্রামের চান্দু মেম্বারের ছেলে মাওলানা আবুল কাশেম দুধনই বাজার জামে মসজিদে ইমামতি করতেন এবং তার মেয়ে লাবিবা ইদারাতুল কোরআন মাদরাসায় প্রথম শ্রেণীতে পড়তেন।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথমদিন ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আট জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় জব্দ করা হয়েছে আট হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮০ কেজি মাছ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ ধরার সময় আট জেলেকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিত।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জব্দ করা জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আর মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজননের সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মৎস্যবিভাগ, কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ১৩২ জনকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। আন্দোলনে আহত প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এদিন বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এতথ্য জানান।
তিনি লিখেছেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আজকে ঢাকা মেডিকেলে ১৩২ জন আহত যোদ্ধাকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয় ৷ আশাকরি খুব দ্রুত সকলের কাছে এই সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে ৷