রিমাল-এর তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ সাতক্ষীরার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে তার ছিঁড়ে ও সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ে জেলার ছয় লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।

বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় সারাদিনই বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আসা–যাওয়ার মাঝে।

তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছিল। ঝড়ে সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় রাত ১১টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

উপকূলের বুড়িগোয়ালীনী এলাকার আব্দুল হালিম বলেন, আমার ফোনে মাত্র ১ পয়েন্ট চার্জ আছে। ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। অনলাইনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।

উপকূলের জান্নাতুল নাইম বলেন, নেটওয়ার্ক সমস্যা ও মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।

শরুব ইয়ুথ টিম সদস্যরা সবাই উপকূলবাসীর পাশে রয়েছেন।

সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর কারণে সাতক্ষীরা জেলার ৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে, অনেক লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ ফের চালু করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো যাচ্ছে না। নিরূপণ করে বলতে পারবো কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সাতক্ষীরায় 'রিমাল-এর তাণ্ডবে উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ছবি- বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের ৫৬ হাজার গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এ মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এবং কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়ায় রোববার রাত ১১টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঝড় কমে যাওয়ার পর পরই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। ১১টি ফিডারের মধ্যে আটটি চালু করতে পেরেছি। ৫৬ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাকিদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছে যাচ্ছি। ঝড়ে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আমরা কাজ করছি।