ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর পর আসছে ‘আসনা’, ‘ডানা’, ‘ফেঙ্গাল’

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের কাছে আঘাত হেনতে শুরু করেছে ঘূ্র্ণিঝড় ‘রিমাল’। শেষ ছ’ঘণ্টায় তার গতিবেগ রয়েছে ১৩ কিলোমিটার। আঘাত হানার সময় এতে বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১শ ২০ কিলোমিটারের মতো বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর পর পরবর্তীতে অনেকগুলো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে। ইতোমধ্যে, ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি।

বিজ্ঞাপন

এবারের ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। পরবর্তীতে যেসব ঘূর্ণিঝড় আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোর নাম যথাক্রমে- ‘আসনা’ (পাকিস্তান), ‘ডানা’ (কাতার), ‘ফেঙ্গাল’ (সৌদি আরব), ‘শক্তি’ (শ্রীলঙ্কা), ‘মন্থ’ (থাইল্যান্ড), ‘সেনিয়ার’ (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ও ‘দিত্ত্ব’ (ইয়েমেন)।

সাধারণত সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।

রিমালের আগেও বাংলাদেশে ‘সিডর’, ‘আইলা’, ‘আম্ফান’ ও ‘মোখার’ মতো বিভিন্ন নামের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

২০০৪ সালে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে একটি কমিটি করা হয়। ৮টি দেশ নিয়ে তখন একটি কমিটি গঠন করা হয়। এগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। পরে ২০১৯ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন নামকরণ কমিটিতে যুক্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড় নামকরণে ১৩ দেশের সমন্বয়ে যে কমিটি রয়েছে, তারা ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে। বর্তমান ‘রিমাল’-এর নাম নির্ধারণ করেছে ওমান। এর পরে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, তার নাম নির্ধারণ করেছে ‘আসনা’- পাকিস্তান।