আমার মেয়ে-নাতিকে বাঁচান। ফায়ার সার্ভিস কেন এখন দুটো ক্রেন লাগালো, আগে কেন লাগালো না। আমার জামাই হাসপাতালে। আমার নাতি বুকের ধন কই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না ফোনও ধরেনা। ওরা কোথায়?
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মেয়ে পপি (৩০) ও নাতনি অদৃতাকে (১২) হারিয়ে এভাবেই আহাজারি করছিলেন রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা বাসনা রানী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে কাচ্চি খেতে শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন বাসনা রানীর মেয়ে, জামাই ও নাতি অদৃতা। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জামাই শংকর ভর্তি থাকলেও এখনো নিখোঁজ বাসিনা রানীর মেয়ে পপি ও অদৃতা।
- বেইলি রোডে আগুন, আটকে পড়া ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার
- বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
- বেইলি রোডে আগুন: ৩ প্লাটুন আনসার মোতায়েন
- বাঁচার আকুতি নিয়ে ছাদে অর্ধশতাধিক মানুষ
- বেইলি রোডে আগুন, লাফিয়ে পড়ে আহত ১০ জন ঢামেকে ভর্তি
- আটকে পড়া ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার
- আল্লাহ আমার স্ত্রী ও শালিকে বাঁচাও
- সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বেইলি রোডের আগুন, হতাহতের শঙ্কা
বাসনা রানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাত ১০টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের বলছি আমার মেয়ে- নাতিকে খোঁজে পাচ্ছি না। কেউ কথা শুনছে না। ধোঁয়ায় আমার নাতি ময়নাটা কেমনে কি করছে। এখন দুইটা ক্রেন লাগালো আগে কেন লাগায়নি। আমার মেয়ে আর নাতিকে ফিরে চাই আর কিছু চাই না।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের আগুন। এখন পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের ভবন থেকে ৬৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেন, আমাদের ১২টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত নই। তবে নিহত আছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।