মাতৃভাষা দিবসে চট্টগ্রাম বইমেলায় মানুষের ঢল

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে মানুষের ঢল নেমেছে চট্টগ্রামের সিআরবিতে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায়। সকাল থেকেই হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর বইমেলায় ছুটছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভিড় দেখা গেলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঢল বাড়ে মানুষের। তাদের পোশাকেও ছিল শহীদ দিবসের আবহ।

বিজ্ঞাপন

অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত বইমেলা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকেই খুলে দেওয়া হয়। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েই বইপ্রেমীরা চলে যান মেলায়। এদিন মেলাপ্রাঙ্গণ জমে ওঠে মাতৃভাষার বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারের রস আস্বাদনে মগ্ন শিশু-কিশোর-প্রবীণদের প্রাণচঞ্চল উপস্থিতিতে। শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বইয়ের বেচা-বিক্রিও বেড়েছে।


বইমেলায় আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস রিতা বলেন, বইমেলা প্রাণের একটি মেলা। এটি আমাদের ৫২'র ভাষা আন্দোলনেরও প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বইমেলায় সকল লেখক ও প্রকাশনী প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। কেননা, আজ স্বাধীন দেশের অধিকার বলতে আমরা বুঝি, সব মানুষের সার্বিক বিকাশের অধিকার। সেই সাথে দেশের সর্বস্তরে বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরান চৌধুরী বলেন, আমাদের জীবনে ২১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ কোনো দিন নয়। জাতির জীবনে এ দিবসটির মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। সেই সাথে বইমেলা আমাদের একুশের চেতনাকে জাগ্রত রাখে। ২১'র চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে।


নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকা থেকে ধীর পায়ে হেঁটে আসা ৭৫ বছর বয়সী আনিসুল ইসলাম বলেন, বইমেলায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। এটি আনন্দের। তবে, এখন মানুষ আগের মতো বই পড়ে না, অনুধাবন করে না। এটি আমাকে ভাবায়। তাছাড়া, চট্টগ্রাম বইমেলার জায়গাটি সংকীর্ণ হয়ে গেছে। লেখকদের জন্য 'লেখক বলছি' বা এমন কোনো স্টেজ নেই। পরিকল্পনার অভাব রয়েছে অনেক। তাছাড়া, খোদ আয়োজক কমিটিও বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চার প্রতি তেমন একটা যত্নশীল হয়নি। তবুও, মানুষের ঢল দেখে আনন্দে ভরে উঠেছে মন। এই ভিড় আরও বাড়ুক, সেটাই চাই।