বাবা-মায়ের হাত ধরেই বইমেলায় বই কিনছে শিশুরা

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪ এর শিশু প্রহরের তৃতীয় এবং গ্রন্থমেলার নবম দিন আজ। বিভিন্ন বয়সের অনেক শিশুকে দেখা যাচ্ছে এই শিশু প্রহরে। বাবা-মায়ের হাত ধরে বইমেলায় বই কিনতে এসেছে এসব শিশুরা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুদের জন্যে বিশেষভাবে তৈরি শিশু প্রাঙ্গনে ঘুরে দেখা যায়, শিশুরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টে নিজেদের পছন্দের বই খুঁজছে। বইয়ে বাঘ, ভাল্লুক, কার্টুন দেখলে সেই বই কেনার বায়না করছে। স্টলের পাশে থাকা কয়েকটি খেলাধুলার স্থানে তাদের মধ্যে বেশ আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। 

বিজ্ঞাপন

শিশু প্রহরে কথা হয় বই কিনতে আসা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরিশ এর সঙ্গে। গত বছরের মতো এবারও সে বাবার সঙ্গে মেলায় বই কিনতে এসেছে। ভূতের গল্প এবং কার্টুনের গল্পের বই পড়তে তার ভীষণ পছন্দ। তাই প্রথম দিনেই সে সিসিমপুরের বেশ কিছু বই সংগ্রহ করেছে।

স্টলে বই কিনতে এসে ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাইফ জানায়, তার কার্টুন দেখতে ভালো লাগে। তাই সে কয়েকটি কার্টুনের বই কিনেছে।

বিজ্ঞাপন

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারদিন জানায়, প্রথমে সিসিমপুর মঞ্চে খেলাধুলা করেছি। রুপকথার গল্প পড়তে আমার বেশি ভালো লাগে। তাই মেলায় এসে দুইটি রূপকথার বই কিনেছি।

উত্তরা থেকে আসা রফিকুল ইসলাম একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি তার ৫ম শ্রেণীতে পড়া মেয়েকে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। তিনি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'অনেক কষ্ট করে ছুটির দিন বাসে করে এসেছি। মেট্রোরেলে আসতে পারলে ভালো হতো। মেয়েকে ছড়ার বই কিনে দিয়েছি।' 

শিশুতোষ বইয়ের স্টল মাছরাঙা পাবলিকেশন এর বিপণন কর্মী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'এবার শিশুদের জন্য বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। আজকে গত শুক্রবার এর তুলনায় সকালে শিশুদের উপস্থিতি বেশি । তারা এবার বইও কিনছে অনেকগুলো।' 

প্রসঙ্গত, এবার বইমেলায় শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১ টি প্রতিষ্ঠানকে 'রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার' দেয়া হবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে।