আহমদ শরীফ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত ড. আহমদ শরীফ ছিলেন ‘বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ। রেনেসাঁর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভার আলোচকেরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উপলক্ষে বাংলা একডেমি আয়োজিত মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: আহমদ শরীফ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক রাজীব সরকার বলেন, শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সমাজ রূপান্তরকামী বুদ্ধিজীবী-বহুমাত্রিক পরিচয়ে ভূষিত আহমদ শরীফ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ। রেনেসাঁর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ। আহমদ শরীফের ইহজাগতিক জীবনদর্শনের মূলে কাজ করেছে রেনেসাঁস চেতনা। মানুষের কল্যাণ সাধনই ছিল তাঁর ব্রত।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির অবিচল অনুশীলন করেছিলেন তিনি। এ জন্য স্বাধীন মত প্রকাশ করা থেকে নিজে কখনো বিরত থাকেননি ড. আহমদ শরীফ।

তিনি বলেন, আহমদ শরীফের জীবন ও কর্ম পর্যালোচনা করলে যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা, মানবমুখীনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা ও আধুনিকতার উজ্জ্বল সম্মিলন দৃশ্যমান হয়।

আলোচকেরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর একজন আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ। তিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নিয়ে মৌলিকভাবে গবেষণা করেছেন। গভীর অনুসন্ধিৎসা ও জ্ঞানতৃষ্ণা ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। জ্ঞানের আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে জ্ঞানের গতিশীলতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়েছেন তিনি। বস্তুবাদী ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন আহমদ শরীফ সমাজ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন।

অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তাজগৎ ছিল সুদূর প্রসারিত। জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিকতায় তাঁর চিন্তাজগতে বিবর্তনও ঘটেছে। নতুন বিষয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। এই মহান চিন্তকের ইহজাগতিক ও রেনেসাঁ-চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।

এদিকে, ‘আজ লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, গবেষক আলী আকবর টাবী, কবি সুমন সরদার এবং কথাসাহিত্যিক শাহরিয়া দিনা।

বৃহস্পতিবার ছিল অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিন। এ অষ্টম দিনে নতুন বই এসেছে ৮০টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এবার সর্বমোট বই এলো ৪৯৮টি।