স্কুলজীবন থেকেই এখানে ছুটে আসতাম: প্রধানমন্ত্রী

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় স্কুলজীবন থেকেই এখানে ছুটে আসতাম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এ সব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি আর আমার বান্ধবী বেবি মওদুদ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে বাংলা একাডেমির লাইব্রেরিটা বেশি ব্যবহার করতাম। আমি ছাত্রলীগ করতাম আর বেবি ছিল ছাত্র ইউনিয়নের। তবুও আমাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর বন্ধুত্ব ছিল। আমরা একসাথে বাংলা একাডেমি, বটতলা অথবা পুকুর পাড়ে বসে পড়াশোনা করতাম। এই বাংলা একাডেমি আমাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত স্থান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ বইমেলা ও লেখক-পাঠকদের জন্য যথেষ্ট নয়। এত মানুষ প্রতিবছর বই মেলায় আসে যে, জায়গা কম হয়ে যায়।

এসময় তিনি মেলার জন্য জায়গা বৃদ্ধি কথা তুলে বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের একটু চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। তবে বই মেলার সাথে এই প্রাঙ্গণের একটা ইতিহাস ঐতিহ্য মিশে আছে, যা এই মেলার বড় আকর্ষণ। কাজেই আমরা চাইলেই এই স্থান ছেড়ে মেলা প্রাঙ্গণ বৃদ্ধির কথা ভাবতে পারি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন জেলায় জেলায় বইমেলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে তা উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শিশুদের বইপড়ায় আগ্রহী করে তুলতে অভিভাবকদের আরও নজর দেয়ার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের ভাষা আন্দোলনের মাস। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির সত্তা জাগ্রত হয়। এই পথ বেয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমারা বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলি, মায়ের ভাষায় কথা বলি। এই অধিকারটাও আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে। বাংলা একাডেমি আমাদের অনেক আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা।

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটনসহ অন্যান্যরা।

এর আগে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য ১১টি শাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম ২’সহ কয়েকটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।