কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামরা লাগালেন নৌকার প্রার্থী, খুলল প্রশাসন

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে নিজ উদ্যোগে সিসি টিভি ক্যামরা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের বিরুদ্ধে।শনিবার (৬ জানুয়ারি) সেই সিসি টিভি ক্যামরাগুলো খুলে ফেলে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রাকিব হাসান সিসি ক্যামরা খুলে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু কেন্দ্রে একজন প্রার্থীর পক্ষে সিসি টিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর অপসারণ করা হয়েছে।’

কয়টি কেন্দ্র থেকে সিসি টিভি ক্যামরা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রাকিব হাসান সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘২ থেকে ৪ টি কেন্দ্র থেকে সিসি টিভি ক্যামরা অপসারণ করা হয়েছে।’

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক এনাম মুনিরী বলেছেন, ‘অসৎ উদ্দেশে ওরা (এম এ লতিফ ও তাঁর সমর্থক) নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামরা লাগিয়েছিল। অন্তত ১০-১৫টি কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছিল। আমরা প্রশাসনকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। এরপর প্রশাসন সেগুলো সরিয়ে নেয়।’

চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে আগের তিনবার ভালোই ভালো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এবার কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এম এ লতিফ। এই আসনে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবিভূত হয়েছেন কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতাই সুমনকে সমর্থন দেওয়ায় লতিফ কিছুটা এক ঘরে হয়ে পড়েন। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রচারণার চলার উত্তেজনাও দেখা গেছে। এমনকি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ফলে এই আসনের ফল কি হচ্ছে, সেদিকে সবার আলাদা নজর আছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসন। এই আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের এম. আবদুল লতিফ নৌকা প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন কেটলি প্রতীকে, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন চেয়ার প্রতীকে, গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ প্রতীকে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নারায়ন রক্ষিত আম প্রতীকে ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মহি উদ্দিন একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।