পদ্মা সেতু পারাপারে কড়াকড়ি, কমেছে যান চলাচল
‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপারমোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি পদ্মা সেতু পারাপারে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে করে পদ্মা সেতু পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোলপ্লাজায় অনেকটাই যানবাহন শূন্য দেখা যায়। মোটরসাইকেল ছাড়াও ছোট যানবাহন এবং বাসের সংখ্যাও ছিল খুবই কম।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনার পর থেকে সেতু কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম জোরদার এবং কঠোর হয়েছে।
টোল প্লাজার অদূরে কিছু সংখ্যক মোটরসাইকেল থাকলেও তাদের পিকআপ ভ্যানে করে মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে সেতু।
বাংলাদেশ সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞার কারণে টোলপ্লাজায় এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। তবে, অন্যান্য যানবাহন পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দিতে পারছে।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু চালুর দ্বিতীয় দিনে পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় মোট ৪ হাজার ৪৬৮টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। রোববার একই সময়ে মোট ১৫ হাজার ২০০টি যানবাহন সেতু পার হয়েছিল।
সোমবার (২৭ জুন) ৮ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকা। আর রোববার (২৬ জুন) একই সময়ে টোল আদায় হয়েছিল ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
সেতুতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি হেঁটেও কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেন অনিয়ম না করে সেজন্য নিয়মিত টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। যান চলাচল শুরুর দ্বিতীয় দিনে অনেকটাই চাপশূন্য পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কড়াকড়ি অবস্থানে কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।