চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে এ বছরে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন নয়, এ বছর থেকে দিনটি আসবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। কিন্তু একই দিনে যে ভালোবাসা দিবসও! দুইটি চমৎকার উপলক্ষ একই দিনে হয়ে বেশ গোঁজামিল একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন।
আর তা হবেই বা না কেন! পহেলা ফাল্গুনের দিন পুরো সাজপোশাকেই থাকে আলাদা আভা, হলুদ-কমলা-বাসন্তি-সবুজের মতো বর্ণীল রংয়ের ছোঁয়া। অন্যদিকে ভালোবাসা দিবসে একান্তভাবেই লাল রংয়ের আধিপত্য থাকে সবখানে। রংয়ের ভিন্নতায় ভিন্ন দুই দিবস একই দিনে হয়ে যাওয়াটা বিপত্তিই বটে।
প্রিয় ও পছন্দের দুইটি দিবস একই দিনে হলে কোন দিবসকে সামনে রেখে সাজপোশাক নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে থাকবে বেশ বড় ধরনের দ্বিধা। বিষয়টি খুব সহজে গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও, খুব একটা কঠিন হবে না মোটেও।
হলুদ-কমলা-বাসন্তি রংগুলো সাথে খুব সহজেই লাল রং মানিয়ে যায়। তাছাড়া এমন রংয়ের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজের সাথে লালের উপস্থিতি বরাবরই থাকে। ছিটেফোঁটার মতো অন্যান্য রংগুলোও শোভা বাড়ায় পোশাকের। তাই লালের মতো প্রখর ও হলুদের মতো আরামদায়ক রং দুইটিকে একসাথে রেখেই নির্বাচন করতে হবে ১৪ ফেব্রুয়ারির সাজপোশাক।
সেক্ষেত্রে শাড়িটা যদি হলুদ হয়, তবে ব্লাউজ পরা যেতে পারে ফুটফুটে লাল রংয়ের। এতে খুব সহজেই ব্যলেন্স রাখা যাবে দুইটি দিবসের সাথেই।
তবে যারা আগামীকাল লাল শাড়ি পরবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছেন, লালের সাথে গাড় সবুজ, হালকা সবুজ, শ্যাওলা সবুজ রংয়ের আভা রাখতে পারেন। সবুজকেও যেহেতু বসন্তের রং হিসেবে দেখা হয়, লালের সাথে সবুজের মিশেল খুব দারুণ ফুটে উঠবে।
পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হয়ে যাওয়ার জন্য যারা দুশ্চিন্তায় পরে গিয়েছিলেন, তারা কিন্তু খুব সহজ সমাধানে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। তাছাড়া দুই দিবসই আনন্দ ও ভালোলাগার বার্তা নিয়ে আসে। তাই যেভাবে নিজেকে সাজিয়ে দিনটি পালন করতে ইচ্ছা করে সেভাবেই নিজেকে সাজিয়ে নিন বিশেষ দিনটিতে।