বডি পজেটিভিটি নিয়ে অংশু’র ‘প্লাস লাইন’

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অংশু’র প্লাস লাইন এর পোশাকে দুইজন মডেল, ছবি কৃতজ্ঞতা: অংশু

অংশু’র প্লাস লাইন এর পোশাকে দুইজন মডেল, ছবি কৃতজ্ঞতা: অংশু

শারীরিক সুস্থতার সাথে ওজন সম্পর্কযুক্ত হলেও, সকলের পক্ষে ওজনকে সঠিক মাত্রায় ও নিয়ন্ত্রণের ঘরে ধরে রাখা সম্ভব হয় না। এছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে প্রতিটা মানুষের শারীরিক গঠনই ভিন্ন হয়ে থাকে। সেখানে নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির মাঝে পোশাকের মাপকে বেধে ফেলা বেশ বড় একটি ভুল ধারণা।

অথচ এই ভুলটাই এখন সঠিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বনামধন্য থেকে শুরু করে স্বল্প পরিচিত বুটিক হাউজ কিংবা ক্লদিং লাইনগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু মাপের পোশাকের বাইরে অন্য কোন মাপের পোশাক নেই। বড় সাইজের (XL, XXL) পোশাকগুলোর চাহিদা বেশি নাকি উৎপাদন কম তা বুঝে ওঠা মুশকিল। কারণ এই সাইজগুলোই শেষ হয়ে যায় সবার আগে। এক্ষেত্রে বিপত্তিতে পড়তে হয় প্লাস সাইজ পোশাকের ক্রেতাদের।

বিজ্ঞাপন

এই বিপত্তিতে কিছুটা আশার আলো নিয়ে হাজির হয়েছে অনলাইন প্রতিষ্ঠান অংশু। দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে ‘প্লাস লাইন’ নিয়ে।

অংশু

প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা তানজিনা হকের সাথে কথা হয় তার এই ব্যতিক্রমী ভাবনা নিয়ে। বার্তা২৪.কমকে জানালেন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই প্লাস লাইন নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা তার। শপিংয়ে বেশিরভাগ সময়ে পছন্দের ডিজাইন বা রঙের পোশাক সাইজমতো পাওয়া যায় না।

কারণ প্লাস সাইজ নিয়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি খুব একটা ফোকাসড নয়। প্লাস সাইজ নিয়ে অল্পবিস্তর কাজ হলেও, বেশিরভাগই হচ্ছে দায়সারাভাবে। ফলে পোশাকের সৌন্দর্য বা সঠিক মাপ থাকছে না।

তানজিনা জানালেন অংশুর প্লাস লাইনে দুইজন প্রফেশনাল ডিজাইনারের সাথে আলোচনা করে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন তন্তু ও রঙের ২০টি ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বডি শেইপের উপর।

অংশু

অল্প সময়েই দারুণ সাড়া পেয়েছে অংশুর প্লাস লাইনের পোশাকগুলো। তানজিনা বলেন, ‘সবাই খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে এই কাজটা, পোশাকগুলোর তারিফ করছে। এমনকি অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে নক দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বডি পজেটিভিটি থেকেই মানুষের কাছ থেকে অ্যাপ্রেসিয়েশন পাচ্ছি।’

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্লাস লাইনের পোশাক ডিজাইন ও নকশার সময় কোন বিষয়টিকে সামনে রেখে কাজ করা হয়েছে। উত্তরে তানজিনা বলেন, ‘মাত্র ১৫ বছর আগে পোশাক ডিজাইন করার সময় বলা হত- হাইড ইওর প্রবলেম এরিয়াস। অর্থাৎ কারোর যদি পেটের অংশটা প্রবলেম এরিয়া হয় তবে সে অংশটা যেন ফোকাস না হয় এমনভাবে পোশাক ডিজাইন করা।

তবে এখন আমরা কাজ করছি শরীরের কোন অংশকে সমস্যা নয়, সম্পদ হিসেবে চিন্তা করে। কারোর হয়তো শোলডার লাইন ভালো, কারোর বটম লাইন ভালো- এইভাবে পোশাকের ডিজাইন করে কাজ করছি।’

অংশু

নিজস্ব তাঁত থাকায় ও তন্তু নিয়ে কাজ করায়, সামনে গরম আবহাওয়ায় আরামদায়ক তন্তুর উপরে ফিউশন ধাঁচের পোশাক তৈরি করার পরিকল্পনা আছে তানজিনার। তবে তাতেও দেশীয় ধাঁচ থাকবে অবশ্যই।

অংশুর প্লাস লাইনের পোশাকগুলোর মাপ প্রাথমিকভাবে ৪২-৫২ ধরা হলেও, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এই মাপের বাইরে কম বা বেশি মাপেও পছন্দসই পোশাক তৈরি করে দেওয়া যাবে বলে জানালেন তানজিনা।

অংশু

তন্তুর ধরণ ভেদে প্লাস লাইনের একেকটি পোশাক পাওয়া যাবে ১২৫০ টাকা থেকে ২২০০ টাকার মাঝে।

আরও পড়ুন:

শাড়ির রাণী ‘জামদানি’

গাছ যখন গলার মালা!