ঠিকভাবে হাত পরিষ্কার না করায় অসুস্থ হচ্ছেন কি?

  • Fawzia Farhat
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য সচেতনতায় খাদ্যাভ্যাসের নিয়মসহ সঠিক জীবনযাপনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। অনিয়ম থেকে দূরে থেকে নিয়ন্ত্রিত ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে পারলে বেশিরভাগ অসুস্থতাকেই দূরে রাখা সম্ভব হয়। কিন্তু এখানে খুব জরুরি একটি বিষয় নিয়ে একেবারেই কথা বলা হয় না। সেটা হলো হাত পরিষ্কার করা বা হাত ধোয়া।

এ বিষয়টিতে আমরা একেবারেই সচেতন নই। যেনতেনভাবে হাত ধুয়ে নিলেই কাজ হবে বলে ধরে নেই। হাত ধোয়ার বিষয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা থেকেই হাতে জীবাণু রয়ে যায়। যা থেকে পরবর্তীতে দেখা দেয় নানা ধরনের অসুস্থতা। হাত পরিষ্কারের জন্যে রয়েছে তিনটি নির্দিষ্ট নিয়ম, যা বহু অসুস্থতা থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞাপন

২০ সেকেন্ড অবশ্যই

hand

হাত পরিষ্কারের জন্য একদম সঠিক হলো ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া। দুইবার ‘হ্যাপি বার্থডে’ গানটি গাইতে যে সময়টুকু প্রয়োজন হয়, তার মাঝেই হাত ধোয়া হয়ে যাবে। ২০ সেকেন্ড হলো সর্বনিম্ন সঠিক সময় যার মাঝে হাতে থাকা বেশিরভাগ ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়।

শীতল পানি নাকি গরম পানি?

hand

হাত ভালোভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার জন্য শীতল পানি নাকি গরম পানি বেশি কার্যকরি। বেশীরভাগের ধারণা গরম পানি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ব্যাপারটি একেবারেই উল্টো। গরম পানির চাইত শীতল পানি হাতের থাকা জীবাণু দূর করতে বেশি কার্যকর এবং এর সপক্ষে বেশ ভালো বৈজ্ঞানিক প্রমাণও আছে। এছাড়া গরম পানিতে হাত ধোয়ার ফলে হাতের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ফলে উষ্ণ পানি থেকে দূরে থাকাই হবে যুক্তিযুক্ত।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান কতটা কার্যকর?

খুবই দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, সাধারণ সাবান ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানের মাঝে কোন পার্থক্যই নেই। পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, উভয় ধরনের সাবানেই হাত একইভাবে পরিষ্কার হয় একইভাবে কাজ করে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানের পরিবর্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার অনেকটা কার্যকর। বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশ কিছু ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: অপরিষ্কার থাকছে প্রাত্যহিক ব্যবহার্য যে জিনিসগুলো

আরও পড়ুন: নখের ক্ষতি হচ্ছে নিত্য যে সকল অভ্যাসে