কীভাবে কোলেস্টেরলকে রাখা যাবে নিয়ন্ত্রণে?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়ম না মানলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে না

নিয়ম না মানলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে না

জীবনযাত্রার ধরণ ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের ফলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সমস্যাটি ইদানিং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

রক্তে লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (LDL) বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এক কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির জন্য হৃদরোগ, মস্তিষ্কজনিত সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এ কারণে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি এবং কীভাবে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে সে সংক্রান্ত পাঁচটি একেবারেই বেসিক নিয়ম তুলে ধরা হলো এ ফিচারে।

বিজ্ঞাপন

কমাতে হবে ফ্যাট গ্রহণের মাত্রা

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো খাপছাড়া ফ্যাট গ্রহণ। রেড মিট, তৈলাক্ত খাবার, জাংক ফুডে থাকা ফ্যাট শুধু ওজন বৃদ্ধি করে না, কোলেস্টেরলকেও বাড়িয়ে দেয় অপ্রত্যাশিতভাবে। তাই ফ্যাট গ্রহণের প্রতি সবার আগে সচেতন হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে উপকারী ফ্যাট গ্রহণের কথাও। যা সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অনেকখানি অবদান রাখে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, অলিভ অয়েল, তৈলাক্ত মাছে থাকা ফ্যাট কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে না। তাই এই ফ্যাটগুলো নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে।

গ্রহণ করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ

আঁশযুক্ত খাবার

পাকস্থলীর সুস্থতার পাশাপাশি কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আঁশযুক্ত খাবারের গুরুত্ব অনেকখানি। খাদ্যের আঁশ কোলেস্টেরলকে রক্তে মিশে যেতে বাধা প্রদান করে ও শোষণ করে নেয়। ফলে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যাটি দেখা দেয় না। আঁশযুক্ত খাবারের মাঝে ওটস, ফ্ল্যাক্সসিডস, পাতাযুক্ত সবজি, ফল ও দানাদার খাদ্য গ্রহণে জোর দিতে হবে।

একদিন শুধুই সবজির

সবজি

আমাদের প্রায় প্রতিদিনের খাবারেই মাছ-মাংস থাকেই। অবশ্যই সুষম পুষ্টির জন্য মাছ-মাংস গ্রহণ জরুরি। তবে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সপ্তাহে একদিন শুধুমাত্র সবজি খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবজি, সবজির ঝোল, ভর্তা, সবজির সালাদে ভিন্ন ধরনের মেন্যু তৈরি করুন। এতে করে পুরো সপ্তাহে সবজি গ্রহণে কমতি থাকলেও একদিনে অনেকখানি পূরণ হয়ে যাবে।

সতর্ক হতে হবে কার্ব গ্রহণে

লো-কার্ব ফুড হ্যাবিট হাই কোলেস্টেরলের সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগ থেকেও মুক্তি দিতে পারে। কার্বোহাইড্রেটপূর্ণ খাবারের চাইতে আঁশযুক্ত খাবারে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে নিজেকে সুস্থ রাখা অনেকখানি সহজ হয়ে যায়।

নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ওজন

বাড়তি ওজন বহু ক্ষেত্রেই শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। যার মাঝে অন্যতম প্রধান দুইটি হলো ডায়বেটিসের প্রাদুর্ভাব ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেওয়া। বাড়তি ওজন খারাপ কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে দেয় বিপদসীমার দিকে। তাই ওজনকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: যে খাবারগুলো কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী

আরও পড়ুন: যে খাবারগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখবে কোলেস্টেরল