চুলের সমস্যা যখন আবহাওয়াজনিত!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শীতকালে ত্বকের নানাবিধ সমস্যার সঙ্গে বেড়ে যায় চুলের ঝামেলাও।

খুশকি তো বটেই, চুলের শুষ্কতাও বেড়ে যায় অনেক বেশি। আবহাওয়াজনিত কারণে চুল ও মাথার ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। যার দরুন চুল একেবারেই নিস্প্রাণ হয়ে পরে। আর এই সকল সমস্যার সঙ্গে অবধারিতভাবেই পাল্লা দিয়ে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।

শীত জুড়ে চুলকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে এবং চুল পড়ার হারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করতে হবে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক।

বিজ্ঞাপন

ভিটামিন-ই ক্যাপসুল হেয়ার মাস্ক

শীতকালীন চুল পড়া ও মাথার ত্বকের খুশকির সমস্যা দূর করতে এই হেয়ার মাস্কটি দারুণ কার্যকরি। হেয়ার মাস্কটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে- দুইটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের রস, এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল।

সকল উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। রাতে এই তেলের মিশ্রণটি চুলে ম্যাসাজ করে চুল ভালোভাবে বেঁধে ঘুমাতে হবে। সকালে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিন বার এই তেলটি ব্যবহার করতে হবে।

কলা ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক

এই হেয়ার মাস্কটি মূলত চুলকে নরম ও কোমল করতে কাজ করবে। শীতকালীন আবহাওয়ায় ত্বকের মতো চুলও খুব দ্রুত শুষ্ক হয়ে ওঠে। চুলের শুষ্কভাবকে কাটাতে চাইলে প্রয়োজন হবে এই হেয়ার মাস্কটির। সহজ এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে একটি বড় পাকা কলা, আধা কাপ টক দই ও দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের প্রয়োজন হবে।

প্রথমেই কলাটি ভালোভাবে মথে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, কলার দলা যেন না থাকে। এরপর এতে দই ও পরবর্তীতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। সকল উপাদান ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে প্রয়োগ করতে হবে। মাথার সম্পূর্ণ চুলে মিশ্রণটি ব্যবহার করা হয়ে গেলে হেয়ার ক্যাপ পরে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তবে ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলে ২০ মিনিট রাখলেও হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে চুল ধুয়ে খুবই হালকা ধাঁচের হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুন: চুলের সুস্থতায় আদা!

আরো পড়ুন: চুল পড়ছে বেশি?