জি কে শামীম ও তার মায়ের দুর্নীতি মামলার রায় পেছাল

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রায়ের তারিখ পিছিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ ৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছিলেন।

অভিযোগ তদন্ত করে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরে ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালে দেশে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলাকালে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেসময় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মোট তিনটি মামলা হয়।

গ্রেফতারের আগে শামীম নিজেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিত। কখনও যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আবার কখনও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দিতেন। যদিও তার সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করা হয়নি।

আলোচিত এই ঠিকাদার পরিচিত ছিলেন সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরার কারণে। ক্ষমতা দেখিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বড় ঠিকাদারী কাজের প্রায় সবই নিজের প্রতিষ্ঠানের দখলে নিতেন তিনি। ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।

সাজা পাওয়া তার সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

এছাড়া অর্থপাচারের মামলায়ও জিকে শামীম ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত।