খালেদার নাইকো মামলার সব সাক্ষীকে তলব

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে তলব করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সাক্ষী না আসায় দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর ফাতেমা খানম নিলা সময়ের আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাক্ষী না আসায় মৌখিকভাবে সাক্ষী সমাপ্ত করার আবেদন করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত ৩টি ধার্য্য তারিখে সাক্ষী হাজির করেনি। এভাবে তারা আসামিদের হয়রানি করছেন। তাই মামলায় সাক্ষী সমাপ্ত করে আসামিদের খালাস দেওয়া হোক।

শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে তলব করেছেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদীসহ ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। যার মধ্যে বাদীর সম্পূর্ণ সাক্ষী হওয়ার পর বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।