আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট করেছিলেন মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।

এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন চাওয়া হয়। এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়।

এছাড়া বিদেশে পাচারকৃত ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদসচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।

ওই সময় আরিফুর রহমান জানিয়েছিলেন, আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করতে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল এবং বিদেশে পাচারকৃত ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সব কর্মকর্তা, চলমান প্রশাসনের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব বিভাগীয় কমিশনার, এসপি ও ওসিকে বদলি করে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।