দেশের ১৮ জেলায় গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে প্রশ্নফাঁস, প্রশ্ন জালিয়াতি এবং পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করতে করা সকল আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমএ লতিফ প্রধান ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শুনানি শেষে তুষার কান্তি রায় গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পরীক্ষার্থীদের করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ পরীক্ষার বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই লিখিত পরীক্ষার ফল গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এতে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়।