কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা: দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা, উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা, উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

কলকাতায় শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী, ৯ম  বাংলাদেশ বইমেলা। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এ বইমেলার উদ্বোধন হয় কলকাতার মোহরকুঞ্জে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ এবং বাংলা একাডেমি সাবেক মহাপরিচালক লেখক-গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু দে এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

বিজ্ঞাপন
উদ্বোধন শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে কলকতায় বাংলাদেশের বইমেলা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আদান প্রদানের মাধ্যমে আমরা দু’দেশই উপকৃত হচ্ছি। গত ৮ বছর ধরে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমার খুব ভাল লেগেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যারা করছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বইমেলার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দু’দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। যারা দু’দশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে অটুট রাখতে তাই বাংলাদেশ বইমেলার জন্য আমরা প্রতিবছর কলকাতাকে বেছে নিয়েছি।

প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বইমেলার মাধ্যমে আমরা দু’দেশের মানুষকে মেধা ও মননশীলতায় সমৃদ্ধ করতে পারব। বাংলাদেশের লেখকদের বই পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের নিকট পৌঁছে দেবার জন্যে এই বইমেলা পশ্চিমবঙ্গে জরুরি ছিল। সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। বাংলাদেশের বাঙালি হোক আর পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হোক সবার প্রবল আগ্রহ থাকে বাংলা বইয়ের প্রতি। তাই এ ধরণের বইমেলা আরও বাড়ানো উচিত।’

বিজ্ঞাপন
৯ম বাংলাদেশ বইমেলা

উদ্বোধনী পর্ব শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্টশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি এবং নৃত্য পরিবেশন করেন শান্তিনিকেতনের মোহালি আদিবাসী। এছাড়া, মেলামঞ্চে প্রতিসন্ধ্যায় থাকছে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার ও কবিতা পাঠ। এ বইমেলা চলবে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, শনি ও রবিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত।

এবারের বই মেলায় ৬০টি স্টলে ৮০টি প্রকাশনা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিবারের মত এ বছরও সম্পুর্ণ মেলাটি ‘বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’, ‘কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন’ এবং ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র সম্মিলিত উদ্যোগে শুক্রবার থেকে সুচনা হয়েছে। শেষ হবে ১০ নভেম্বর। এদিনও কলকাতার বইপ্রেমীদের মধ্যে বাংলাদেশের বই নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।