নৈরাজ্যের তীর বিঁধলেন সিবিআই

  • কলকাতা ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রোববারের (৪ ফেবুয়ারি) ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন স্বভাবতই দুটি পরিস্থিতি। একদিকে বহু মানুষ এসে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তাদের দাবি তৃণমূল কংগ্রেস হটাতেই এসব কেন্দ্রের নীতি।

রোববার এই ঘটনা নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের ফোন কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকে। এরপর সংসদের দু পক্ষের অধিবেশন বসে। লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  রাজনাথ সিং বলেছেন, এভাবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) বাধা দিলে রাজ্যের সাংবিধানিক অচলাবস্থা শুরু হবে। সিবিআই বলছে, এ ধরণের কাজ নৈরাজ্যের চেয়ে কম কিছু নয়।

বিজ্ঞাপন

গতকাল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সিআইবির দাবি, সিবিআই বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বৈরথে সংবিধান ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিষয়টি সুরাহা করার কথা।  

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও উড়িষায় চালু থাকা একাধিক চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেরই দেওয়া। সেই কাজে সহযোগিতার জন্য চার বার ডাকা হলেও রাজীব কুমার হাজির হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় অনুমতি না নিয়েই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে প্রবেশের জন্য যান ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) লোকজন। অনুমতি না থাকায় যথারীতি তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সিবিআই-এর লোকজন আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট শুরু হয়। এমনকি কলকাতা পুলিশ প্রধানের বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধরনায় (ধর্মঘট) বসেন।