অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন করেছে কাবা পরিচর্যা ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
৯ জিলহজ, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পরে হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে চলে গেলে গিলাফ পরিবর্তনের কথা থাকলেও রীতি ভেঙে বুধবার রাতে পুরনো গিলাফ বদলে নতুন গিলাফ চড়ানোর কাজ শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাবাক নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন গিলাফ চড়ানোর কাজ শুরু করার কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি শুরু হয়। তবুও কাজ বন্ধ করা হয়নি। অব্যাহত প্রচেষ্টায় টানা ৫ ঘণ্টা সময়ে হারামাইন শরিফাইনের সভাপতির তত্ত্বাবধানে গিলাফ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ করেন এ কাজে নিয়োজিত বিশেষ কর্মীরা।
সৌদির বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, গিলাফ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিয়েছে সৌদির প্রভাবশালী অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান।
বিজ্ঞাপন
এর আগে কাবার নতুন গিলাফ বাদশা আবদুল আজিজ কিসওয়া কমপ্লেক্স থেকে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত একটি বিশেষ ট্রাকে করে সুসজ্জিত বহরের মাধ্যমে মসজিদে হারাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যাবতীয় সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়।
কাবা শরিফের নতুন এই গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। স্বর্ণের সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে।
জানা যায়, গিলাফে ব্যবহৃত খাঁটি রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে। স্বর্ণ জার্মান থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, কাবার নতুন গিলাফের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে।
দুই শতাধিক শ্রমিক সারাবছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফ নষ্ট না হয়।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশ-বিদেশের মাত্র ১০ হাজার হজযাত্রী নিয়ে এবারের হজের আয়োজন করেছে সৌদি সরকার। ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে নজিরবিহীন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে হজ পালনের জায়গাগুলোতে।
হজ এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রী নির্ধারণ করে থাকে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীর এই কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৫ সনের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হতে প্রতিবছর হজযাত্রীর ন্যূনতম সংখ্যা বা কোটা নির্ধারণ করে থাকে। গতবছরের ১৮ জুন সৌদি সরকার ২০২৫ সালের হজের হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণসহ হজ কার্যক্রমের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করে সে সময় বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার জন হবে বলে জানানো হয়। তবে গতবছরের ৬ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা দুই হাজার জন থেকে কমিয়ে এক হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সাবলীলভাবে হজপালন করতে পারেন সে বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সর্বদা তৎপর রয়েছে। সৌদি সরকারের রোডম্যাপ ও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আমরা সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
হজ ব্যবস্থাপনা একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, হজযাত্রী প্রেরণকারী সংশ্লিষ্ট দেশ এবং সৌদি সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। একটি ধারাবাহিক কর্মপন্থা অনুসরণ করেই হজের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে হয়।
হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি সময়াবদ্ধ কার্যক্রম অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, সৌদি সরকার ঘোষিত সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও সময় অনুসরণ করেই হজের প্রতিটি কাজ শেষ করতে হয়। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করার কোনো অবকাশ নেই।
সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রীর একটি আধা-সরকারি পত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সনের হজে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সেবাদানকারী কোম্পানী নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা রিজার্ভ, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এখনও শুরু করা হয়নি। এসব কার্যক্রম সম্পাদনের সর্বশেষ তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ নির্ধারিত রয়েছে। তিনি হজ এজেন্সি মালিক বা পরিচালকদেরকেও দুয়েকদিনের মধ্যেই সৌদি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লিড এজেন্সি গঠনসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, সংস্থা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
বান্দার প্রতি আল্লাহতায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ হলো, তিনি মানুষকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার অন্তরের প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণ ও বরকত লাভ করে। উমরা এমনই এক ইবাদত।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এক উমরা অন্য উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব কিছুর কাফফারা। আর মাবরূর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত।-সহিহ বোখারি : ১৭২৩
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ ও উমরাকারী হলো আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৮৯৩
বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর তথ্যমতে, বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখের বেশি মানুষ উমরা পালন করেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে উমরার প্রভাব ধরে রাখার জন্য কিছু পরিকল্পনা দরকার। এ লক্ষে উমরার কাফেলা যারা পরিচালনা করেন, তারা নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারেন-
১. মক্কা-মদিনাতে পাঁয়ে হাঁটা পরিমাণ দূরত্বে কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। অনেক কাফেলা এগুলোতে গুরুত্ব দেন না। তারা শুধু বাসে করে দূরের স্থানগুলোতে জিয়ারা (পরিদর্শন) করান। অথচ কাছেই অনেক স্থান বাদ পড়ে যায়। অনেকে না চেনার কারণে একাকীও যেতে পারে না। এসব জায়গায় জিয়ারা করানো যেতে পারে। খরচও লাগবে না, সবাই খুশিও হবে।
২. মাঝে মাঝে উমরাপালনকারীদের নিয়ে আমলি মুজাকারা করলে ভালো হয়।
৩. সম্ভব হলে মক্কা-মদিনা যাওয়ার আগে বা সেখানে পৌঁছে হারামাইনের আদাব ও করণীয়-বর্জনীয়গুলো আলোচনা করা যেতে পারে। অনেকেই এ ব্যাপারে উদাসীন থাকেন।
৪. কাফেলার মধ্যে নারী-পুরুষ সবাই থাকে। তাদের মাঝে যেন পর্দার কোনো খেলাফ না হয়, এ ব্যাপারে সতর্ক করা জরুরি।
৫. সফরের শুরুতে তাদের সঙ্গে সবর, উত্তম আখলাক, ঝগড়াঝাঁটি পরিহার ইত্যাদি বিষয় মুজাকারা করে নেওয়া। না হলে দেখা যায়, হারামাইনের মতো জায়গায় বসে অনেকে সবর দেখাতে পারেন না, খারাপ আচরণ করে বসেন, ঝগড়া করেন।
এক কথায়, উমরা পালনকারীরা এজেন্সি কর্তৃপক্ষ, গ্রুপ লিডার ও মুয়াল্লিমের কাছ থেকে শুধু ট্রান্সপোর্ট, হোটেল আর খাবারের সুবিধা পেলেই চলবে না, বরং ঈমান-আমলের একটা খোরাক যেন পান; সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে তাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে, মন আমলের দিকে ঝুঁকবে।
সেই সঙ্গে উমরা পালনকারীকে খেয়াল রাখতে হবে, এক মুহূর্ত সময় যেন নষ্ট না হয়, বেশি বেশি আমল ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা।
১. যেকোনো ছোট-বড় কাজ বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে শুরু করা। নিয়ত যদি ভালো থাকে এবং ভালো কাজ করার প্রবল ইচ্ছা থাকে, পরে যদি কাজটি সম্পন্ন নাও হয়, কিন্তু আল্লাহ সেই কাজের সওয়াব লিখে দিবেন আমলনামায়।
২. উমরার সফরে সর্বাবস্থায় ধৈর্যধারণ করতে হবে, কম কথা বলতে হবে। এই অভ্যাস অবশ্য সবসময়ই উপকারী।
৩. আপনাকে যদি রুম শেয়ার করে থাকতে হয়, তাহলে রুমের অন্যদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করবেন। সম্ভব হলে তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন, কোনো কিছু খেলে তাদের সঙ্গে নিয়ে খাবেন। একসঙ্গে নামাজে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, দোয়া-দরুদ ও আমলের কথা আলোচনা করবেন। কারো কোনো ভুল দেখলে শুদ্ধটা বলে দেবেন সওয়াবের নিয়তে।
৪. মক্কা-মদিনার দৃশ্য দেখে, নতুন পরিবেশে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার জন্য ব্যস্ত হবেন না। যতটা সম্ভব আমলে মশগুল থাকবেন।
৫. মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে অনেক সময় টিস্যু, খেজুরের বিচি, প্লাস্টিকের গ্লাস পরে থাকতে দেখবেন। এগুলো একসঙ্গে করে ফেলে দেবেন। এর মানে আপনি আল্লাহর ঘর পরিষ্কার-পরিছন্ন করার সুযোগ পেলেন, এমন সৌভাগ্য কয়জনের হয়?
৬. মক্কা-মদিনায় খেজুর, রুটি, জমজম, চকলেট, লাবাং ও দই ইত্যাদি হাদিয়া পাবেন। আপনার পাশেরজন যদি না পায়, তাহলে তাকে কিছু হাদিয়া দেবেন। সম্ভব হলে, নিজের কাছে সবসময় কিছু খাবার রাখবেন- যেন প্রয়োজনের সময় কাউকে দিতে পারেন।
৭. কেউ যদি আপনাকে কথা দিয়ে কষ্ট দেয়, চুপ থাকবেন। কিছু বলবেন না, মাফ করে দেবেন- আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
৮. নামাজের সময় কাতারে যদি কেউ পাশে দাঁড়াতে চায়, তাকে সুযোগ করে দেবেন।
৯. মক্কা-মদিনায় আওয়াজ করে কথা না বলাই ভালো। কথা আস্তে ও সংক্ষেপে বলবেন।
১০. উমরার সফরে মার্কেটে কম যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা এমন একটা নেশা যে, আপনার দৈনন্দিন আমল সবকিছু নষ্ট করে দেবে। হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় হাদিয়া কিনবেন, কিন্তু মার্কেটিংকে নেশা বানাবেন না।
১১. অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। জমজমের পানি হারাম শরিফে পান করবেন, ছোট বোতলে করে নিয়ে আসবেন। প্রাণভরে জমজম পান করার চেষ্টা করবেন।
১২. মক্কা-মদিনায় প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর জানাজার নামাজ হয়। তাই জানাজার নামাজের নিয়ম জেনে যাবেন।
১৩. যদি আপনার কোনো সঙ্গী অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন।
১৪. উমরার সফরে সবসময় আল্লাহর কাছে বলতে হবে, আল্লাহ! আমার আমলগুলো সহজ করে দিন, আমলগুলো কবুল করুন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত বোর্ডের উদ্যোগে জাকাত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিল্লাল বিন কাশেমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, https://ezakat.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা যাবে। এই এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে জাকাত প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে তার রশিদ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। যা জাকাত প্রদানকারী তাৎক্ষনিকভাবে নিতে পারবেন।
জাকাত এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে খুব সহজেই স্বল্পসময়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জাকাত প্রদান করা যাবে। দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসীরাও এই এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে জাকাত প্রদান করতে পারবেন। জাকাত ফান্ড পরিচালনা পদ্ধতি ও নীতিমালা, জাকাত প্রদানের নিয়মাবলী, জাকাতের নেসাব, জাকাত সংগ্রহ ও বন্টন নীতিমালা, জাকাত বন্টনের নির্ধারিত খাত, জাকাত গণনার নিয়মসহ জাকাত সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য এই এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে জানা যাবে।
ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে জাকাত অন্যতম। স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে তার ওপর জাকাত ফরজ হয়ে থাকে।
ইসলামি স্কলারদের মতে, পরিকল্পিতভাবে জাকাত প্রদান করলে সমাজ, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র এবং বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত হবে। তাই, দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের সব ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও বিত্তবান মুসলিমকে দুঃস্থ ও অসহায় মুসলিমদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীকরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাত অ্যাপ ব্যবহার করে জাকাত প্রদানের জন্য জাকাত বোর্ডের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারি জাকাত ফান্ডে জাকাত প্রদানকারীর অর্থ সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত।
মসজিদে নববিতে শিশু শিক্ষার আসরগুলো আমুদকে (পিলার) কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।
মসজিদে নববির শত শত পিলারকে কেন্দ্র করে শত শত উস্তাদের শিক্ষার আসর। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি মুখরিত করে রাখে গোটা মসজিদের পূর্ব-পশ্চিম-দক্ষিণ অংশ।
বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের হালাকা (আসর)। কেউ কায়দা খুলে বসেছে। কেউ আম্মাপাড়া পড়ছে। কেউ কোরআন মাজিদ পড়ছে। কেউ হেফজ করছে। কোথাও আবার বিভিন্ন দোয়ার তালিম বা ভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। এখানেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারি কারিকুলামে প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
এভাবেই এখানে মদিনার শিশুদের শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। মজার বিষয় হলো, অনেক পরিবার সাত দিনের জন্য মদিনায় আসলেও তার সন্তানদের এখানে ভর্তি করিয়ে দেন।
তাদের কথা, যে কয়দিন মদিনার মাটিতে থাকবে, শিক্ষার্থী হিসেবে নবীর মসজিদে তার নাম লেখা থাকবে।