হজের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে বললো সৌদি আরব

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় হজ পালনেচ্ছুকদের করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে সৌদি আরব।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরব করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে উমরা স্থগিত করে। ওই পদক্ষেপের পর হজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে হজ বন্ধের গুজবও ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদি মন্ত্রী এ কথা বললেন।

মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বলেন, আমরা হজযাত্রী ও উমরা পালনে আগ্রহীদের সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে বর্তমান বিশ্বে করোনা মহামারির কারণে সাবধানতা প্রয়োজন। আমরা নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখেছি। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব মুসলিম ভাই ও বোনকে হজ চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে বলছি।

মক্কার বিভিন্ন হোটেল ও মসজিদে হারাম পরিদর্শন করেছেন সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন সাক্ষাৎকারটি পবিত্র কাবার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে তিনি মক্কার বিভিন্ন হোটেল ও মসজিদে হারাম পরিদর্শন করেন। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি সাক্ষাৎকারে বেশ জোর দিয়ে বলেছেন, মুসলমানদের আবেগের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ামাত্র মক্কা-মদিনা খুলে দেওয়া হবে।

সৌদি আরব উমরা স্থগিত করার পাশাপাশি দেশটি সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। মার্চের শেষের দিকে মক্কা ও মদিনাসহ কয়েকটি শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

হজে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় বিশ লক্ষাধিক মানুষ সৌদি আরব গমন করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। বিশ্বব্যাপী ৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৪২ হাজারের বেশি মানুষের। আর সৌদি আরবে এক হাজার ৫৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ১০ জন।