হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে প্রস্তুত সৌদি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ পালনকারীদের সর্বোৎকৃষ্ট সেবা এবং সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) সৌদি আরবের হজ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নির্বাহীদের উদ্দেশে বাদশাহ বলেন, আল্লাহর অতিথিদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য নিজেদের সক্ষমতা আরও দ্বিগুণ করুন।

বিজ্ঞাপন

মক্কা-মদিনা এবং হজ পালনের পবিত্র স্থানগুলোতে হজযাত্রীদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বাদশাহ সালমানের নির্দেশের পর সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো থেকে জানানো হয়েছে, হজ পালনকারী প্রত্যেকের বিশেষ করে, নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হজযাত্রীদের যেনো কোনো ধরনের সমস্য না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে সৌদি প্রশাসন।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হজযাত্রীদের সেবায় সৌদির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পবিত্র দুই মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি পুরুষ ও নারী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

/uploads/files/6gH9wRTsAL0w5b4YOdjDMGTgEIx4cweCYwb8h6Ww.jpeg

হজ সেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, প্রকৌশলী, প্রশাসক, প্রযুক্তিবিদ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ডাক্তার, অনুবাদক ও ইসলাম প্রচারক রয়েছেন।

এর বাইরে বিশাল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী এবং বয় স্কাউট হজযাত্রীদের সেবায় কাজ করবে।

মক্কার গভর্ণর এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির চেয়ারম্যান প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল বলেছেন, আল্লাহর অতিথিদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এবং তাদের সেবা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

প্রিন্স খালেদ আরও বলেন, হজযাত্রীদের সেবায় আপ্রাণ কাজ করবেন তারা। ইরান এবং কাতারের হজযাত্রীদেরও অন্যান্য দেশের হজযাত্রীদের মতোই সেবা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে কারও প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করা হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কিন্তু হজ নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি করা হলে তা সহ্য করা হবে না বলেও সতর্ক করেছেন প্রিন্স খালেদ।

এ বছর সৌদির বাইরে থেকে প্রায় ২২ লাখ এবং সৌদির ভেতরের ৬ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন।

এ দিকে মক্কার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অসুস্থ হজযাত্রীদের চিকিৎসায় ৪ হাজারের বেশি শয্যা প্রস্তুত রেখেছে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

-আল আরাবিয়া অবলম্বনে