মার্চের পর বেলজিয়ামের প্রথম মৃত্যু শূন্য দিন

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্চের পর বেলজিয়ামের প্রথম মৃত্যু শূন্য দিন

মার্চের পর বেলজিয়ামের প্রথম মৃত্যু শূন্য দিন

করোনাভাইরাসে মাঝারি আকারের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বেলজিয়াম। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তারা জানিয়েছে, ১০ মার্চের পর এই প্রথম দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যতে নেমে এসেছে।

মার্চ এবং এপ্রিলে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়। লকডাউন জারি করে বেলজিয়াম উল্লেখযোগ্য ভাবে সংক্রমণ কমিয়ে আনে। এখন সেখানে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাইন্সানোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৮৭ করোনাভাইরাসে মারা গেছে। ১ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে প্রতি ১০ লাখে ৮৫০ জন মারা গেছে। ১২ এপ্রিল ৩৪৩ জন মারা যায় যা ছিল একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।

মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ হাজার ৭৮১ যা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। যদিও গত সাত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১ শতাংশ বেড়েছে।

গ্রীষ্মের নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণের কারণে বেলজিয়াম বড় ধরনের সংক্রমণ ঝুঁকিতে আছে। তারা ট্রাফিক লাইট সিস্টেম চালু করেছে যা নির্ধারণ করবে ভ্রমণকারীরা কোথায় যেতে পারবে এবং ফিরে আসার পর কাদের সঙ্গরোধে থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত সুইডেন, ইংল্যান্ডের লেইসেস্টার এবং স্পেন ও পর্তুগালের কিছু এলাকা যেখানে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে সেখান থেকে ফিরলে সেলফ আইসোলেশন এবং করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল। বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, লুক্সেমবার্গ এবং রোমানিয়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।

লুক্সেমবার্গ, রোমানিয়া এবং সুইডেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য রাষ্ট্র সমালোচনা করে জানিয়েছে, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইনস্টিটিউটের কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।

আগামী বুধবার (১৪ জুলাই) সরকার লকডাউন শিথিলের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা করবে। এর আগে দোকান, সিনেমা হল এবং জাদুঘরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।