পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম ও নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনা ও সামরিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে দুই নারী ও এক কিশোরসহ অন্তত ৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা ও সেনাদের গুলিতে সাতজন এবং পাশের নুর শামস শিবিরে একজন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নিহতের মধ্যে ২ জন নারী ও ১ জন কিশোর ছিল।
সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বুকে ও পেটে গুলি লেগে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে এবং ড্রোন হামলায় ওই দুই নারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া হামলায় আশ্রয় কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে ।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তুলকারেমে ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ অভিযানে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৮ জনকে গ্রেফতার এবং কয়েক ডজন অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া নূর শামস শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার তথ্যও নিশ্চিত করেছে ইসরায়রলি বাহিনী।
এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের দুই সদস্য তুলকারেমে নিহত হয়েছেন।
ওয়াফা জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে এবং বুধবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযান এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর আরও গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী বুলডোজার দিয়ে তুলকারেম শহরের বাড়ি, দোকান, আস-সালাম মসজিদের দেয়ালের অংশসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভাঙচুর করে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একই দিন থেকে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে নেতানিয়াহু বাহিনী। গাজা যুদ্ধ শুরু পর অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
জাতিসংঘের ত্রাণ এবং মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত সংস্থা (ওসিএইচএ) গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বরের পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২১০ জন শিশু।