চলতি বছরেই জার্মানিতে করোনা-ভ্যাকসিন উৎপাদন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের শেষে জার্মানিতে লাখো মানুষের ওপর পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ করোনভাইরাস ভ্যাকসিন উৎপন্ন হবে বলে আশা করছে জার্মানির একটি বায়োটেক সংস্থা ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার।

বায়োটেক সংস্থাটি মানুষের ওপর কোভিড-১৯ এর টিকার পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানায়।

ফাইজারের সাথে কাজ করা জার্মান সংস্থাটির মতে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ লাখ লাখ টিকা সরবরাহ করার লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানুষের ওপর প্রয়োগ করার পরীক্ষা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফাইজারের বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এটি আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করবে এবং যতদ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিন জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে গবেষণাটি শুরু হওয়ার পর থেকে জার্মানিতে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সুস্থ ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের ওপর ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এটি নিরীক্ষা করার জন্য ফাইজার এবং বায়োএনটেক পরিকল্পনা করেছে।

গত ২২ এপ্রিল জার্মান ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ভ্যাকসিনস এবং বায়োমেডিকাল ড্রাগস এই পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে এটি জার্মানিতে ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়াল।

সংস্থাগুলো অনুমান করছে, ২০২০ সালের মধ্যেই লাখ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২১ সালে এটির উন্নয়ন কর্মসূচির প্রযুক্তিগত সাফল্য এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সাপেক্ষে কয়েক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করার ক্ষমতা দ্রুত বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।