১৫ বছর গুহায় আটকে যৌন নির্যাতন!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ান একজন নারীকে ১৫ বছর যাবত গুহায় বন্দী করে যৌন নির্যাতন করার অপরাধে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা একজন আধ্যাত্মিক চিকিৎসককে আটক করেছে।

রোববার (৫ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল এলাকা সুলাওয়েসির বাজুগান গ্রামের কাছে বড় পাথরের পেছনে ঢাকা পরে থাকে একটি গুহা থেকে ২৮ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর উক্ত ভুক্তভোগীর পরিচয় জানা গেছে বলে সোমবার এক বিবৃতি জানায় সুলাওয়েসি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের নাম যাগো (৮৩)। জাকার্তার একটি পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশরা যাগোর নামে সতর্কবার্তা পায়। যার সুত্রতা ধরে অনুসন্ধান চালানোর পর তারা গুহায় আটক ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/08/1533718569296.jpg

পুলিশদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালে ভুক্তভোগী ওই নারীকে তার বাবা-মা এই আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। সে সময় নারীটির বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। জাদুবিদ্যা ও কুফরি কালাম তথা ব্ল্যাক ম্যাজিকে যাগোর বেশ নামডাক আছে বাজুগান গ্রামে।

যাগোর কাছে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসার পর চিকিৎসার স্বার্থে নারীকে তার কাছে রেখেও ফিরে যান বাবা-মা। তার কিছুদিন পর থেকে ভুক্তভোগীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি নারীর বাবা-মাকে জানান, মেয়েটি চাকরির উদ্দেশ্যে জাকার্তায় চলে গেছে। পরবর্তিতে বাবা-মা ও আত্মীয়রা মেয়েটির খোঁজ করলেও তাকে আর পায়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/08/1533718669060.jpeg

পুলিশের বিবৃতি থেকে আরো জানা যায়, বিগত ১৫ বছর ধরেই যাগো ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেছে। প্রথমে যাগো নারীটির ব্রেইনওয়াশ করে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে, তার উপরে কোন অতিপ্রাকৃত শক্তি ভর করে এবং তিনি সেই শক্তি দ্বারা পরিচালিত একজন মানুষ। এরপর তাকে প্রতিদিন যৌন নির্যাতন করেছে।

দ্যা ন্যাশনাল কমিশন অন ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট ওম্যান এর কমিশনার ম্যাগডালেনা সিটোলাস জাকার্তা পোস্টকে বলেন, ‘যেহেতু এই আধ্যাত্মিক চিকিৎসক গ্রামটিতে বেশ জনপ্রিয়, সেহেতু আরো ভুক্তভোগী লুকায়িত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। হয়তো তারা ভয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে না’।

তিনি আরো বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন মানসিক ও প্রজনন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। ১৫ বছরে তার মাঝে কী ধরণের পরিবর্তন এসেছে সেটা আমরা কেউই জানিনা’।

পুলিশ অভিযুক্ত যাগোকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর সাথে যৌন হয়রানি হয়রানির অভিযোগে শিশু সুরক্ষা আইনের আওতায় ১৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে।