করোনা: ইতালিতে একদিনে আক্রান্ত ২৩১৩ জন, মৃত্যু ১৯৬

  করোনা ভাইরাস
  • ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস উপদ্রুত ইউরোপের দেশ ইতালি। ভয়াবহ এই ভাইরাসের থাবায় প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা । গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার তিনশত ১৩ জন নাগরিক আর মৃত্যু হয়েছে ১৯৬ জনের।

বুধবার (১১ মার্চ) দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৬২ জন আর এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৮২৭ জন নাগরিক।

বিজ্ঞাপন

গত মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা জারি করার পর থেকে দেশটির প্রায় ৬ কোটির বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সালভেতোরি ফারিনা আক্রান্ত হয়ে নিজেই নিজের বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

এদিকে ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি করার ২য় দিনে রেকর্ড পরিমাণ আক্রান্ত ও মারা গেছেন।

চীনের পর করোনার প্রভাবে পর্যটনের শহর ইতালি মৃত্যুপুরী শহরে পরিণত হয়েছে। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

করোনার প্রভাব ঠেকাতে ইতালি সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরনের স্পোর্টস ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে, ১২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটির ভেনিসে ফ্লাইট স্থগিত করছে এমিরেটস এয়ারলাইন।

দুবাই ক্যারিয়ার অস্থায়ীভাবে মিলানে তাদের প্রতিদিনের ফ্লাইট তিনটি থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে এনেছে। তবে দৈনিক ফ্লাইটটি চলবে, তবে নিউইয়র্কের ফ্লাইট পরিচালিত হবে না। করোনার কারণে এ রুটে ১১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত থাকবে।

করোনার ভয়াবহ আক্রমণে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন। ইতিমধ্যে অনেক রেস্টুরেন্টেসহ মার্কেট বন্ধ হয়ে গেছে। এই সব জায়গায় যারা কাজ করতো সবাই এখন বেকার। এতে করে চরম বিপাকে পড়ছে বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মরত দেশি বিদেশি কর্মচারীরা।

এ নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও।

উল্লেখ, ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করে।