আস্থা ভোটে জিতবে মুহিদ্দীন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুহিউদ্দীন ইয়াসিন ও মাহাথির মোহাম্মদ, ছবি: আল জাজিরা

মুহিউদ্দীন ইয়াসিন ও মাহাথির মোহাম্মদ, ছবি: আল জাজিরা

সদ্য ক্ষমতায় যাওয়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দীন ইয়াসিন পার্লামেন্টের আস্থাভাজন ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশাব্যক্ত করেছেন তার সাবেক মিত্র ও বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাথির মোহাম্মদ। বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সিনার হারিয়ান পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে মাহাথির এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমি বিশ্বাস করি না যে আমার সাবেক মিত্র মুহিদ্দীন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট পেতে আমার যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। আমাদের কাছে ১১৪টির বেশি আসন ছিল, কিন্তু এখন তা কমে গেছে।

বিজ্ঞাপন

মাহাথির আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে আমি সফল হব না। এর মূল কারণ সে আমার পক্ষের অনেক লোককে নিজের পক্ষে নিয়ে গেছেন।

৯৪ বছর বয়সী প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহাথির ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ফের রাজনীতিতে পদার্পণ করে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন মাহাথির।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে হঠাৎ করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাহাথির। এরপর বহু জল্পনা কল্পনা শেষে মুহিদ্দীনকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসান মালয়েশিয়ার রাজা আব্দুল্লাহ। কিন্তু এরপর মাহাথির সংসদের ভোটে সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে ঘোষণা করে।

মাহাথিরের ফের ক্ষমতায় যেতে হলে সংসদের ১১২ জন সদস্যর সমর্থন দরকার। ৯ মার্চ সংসদের পুনর্গঠনকালে মাহাথিরকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আরেক প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী আনোয়ার ইব্রাহিম। তবে মুহিদ্দীন পার্লামেন্টের অধিবেশন দুই মাস পিছিয়ে দেন। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর আসনে যাওয়া নিয়ে স্বপ্ন অধরা রয়ে যায় মাহাথিরের।

মাহাথিরের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুহিদ্দীন। ২০১৮ সালে তাকে পদচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে মুহিদ্দীন ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএনএমও) ও ইসলামিস্ট পার্টির (পিএস) সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

চলতি সপ্তাহের সোমবার মুহিদ্দীন তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। যেখানে ইউএনএমও পার্টির অনেককে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্নীতির কারণে ইউএনএমও'র প্রেসিডেন্ট আহমদ জাহিদ হামিদিসহ অনেক সিনিয়র নেতা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন।