করোনায় আক্রান্ত ইতালিতে মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইতালির উত্তরাঞ্চলের তুশকানি অঞ্চলে ২ দশমিক ৬ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মানুষজন ঘর বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে।
ইতালির ভূতত্ত্ব ও আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ইনস্টিটিউট বলেছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ মাত্রা। স্থানীয় সময় ২টা ১৭ মিনিটে এটি আঘাত হানে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুশকানির লুসা প্রদেশের পাঁচ মাইল ভূগর্ভে। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের আঘাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ইতালিতে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ৬ কোটি মানুষ অনেকটাই অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটির ৪৬৩ জন নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৭২ জন।
সপ্তাহব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এটাই তার ১০ম বারের মতো ইসরায়েল সফর ও ১১তম মধ্যপ্রাচ্য সফর।
গাজা যুদ্ধ শেষ, পুনর্গঠন এবং ইরানসমর্থিত লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর ইসরায়েল কীভাবে এর জবাব দেবে এসব নিয়ে আলোচনা করতে সপ্তাহব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য সফরে মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া ব্লিনকেন লেবাননের রাজধানী জর্ডান ও কাতারের রাজধানী দোহায় যাবেন বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং ইসরায়েলভিত্তিক দ্য জেরুজালেম পোস্ট এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এটিই ছিল তার ১০তম ইসরায়েল সফর।
ব্লিনকেন সপ্তাহব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য সফর করার অংশ হিসেবে প্রথমে তিনি ইসরায়েল গেলেন। এরপর সেখান থেকে জর্ডান ও কাতার যাবেন এবং শুক্রবার পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন।
হামাস নেতা সিনওয়ারকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়েছে, তা প্রশমিত করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরের মূল উদ্দেশ্য অ্যান্টনি ব্লিনকেনের।
এছাড়া গাজায় যুদ্ধ শেষ, বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, ত্রাণ সহায়তা, হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের সমাপ্তি বিষয়ে আলোচনা করবেন ইসরায়েল, লেবানন ও কাতারের নেতাদের সঙ্গে।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর নতুন নেতার নাম গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস। নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন নেতার নাম-পরিচয় জানানো হবে না বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের নতুন নেতার নাম গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাস নিরাপত্তায় যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খুব সম্ভবত সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হামাসের অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে।
হামাসের অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুসারে, গোষ্ঠীটি মার্চ মাসে পরবর্তী অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পর্যন্ত নতুন নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো প্রধান নেতা বেছে নিচ্ছে না গোষ্ঠীটি। ফলে দলের চেইন অব কমান্ডেও কোন পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
হামাসের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। গোষ্ঠীটির একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাৎ বরণের ঘটনার পর থেকে আমরা হামাসের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। কাতারে হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে বেছে নিয়ে একটি কমিটি গত সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়েছিল। দলের নীতিনির্ধারনী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত আপাতত সেই কমিটিই নেবে।'
লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী সমাপ্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২১ অক্টেবার) বৈরুতে লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে আলোচনার পর এমন কথা জানান মার্কিন দূত আমোস হকস্টাইন। তবে তিনি এমন কথা বললেও এই যুদ্ধের ইতি টানার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। যদিও এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে আলোচনার পর হকস্টাইন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবারের যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধের পর গৃহীত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে হয়েছে।
ওই প্রস্তাবটি ১৭০১-এ নামে পরিচিত। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে লিটানি নদী পর্যন্ত (উত্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বা ১৮ মাইল) একমাত্র সামরিক বাহিনী হিসেবে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি থাকবে।
হকস্টাইন বলেন, এই যুদ্ধের ইতি টানার ভিত্তি হবে প্রস্তাব-১৭০১। তবে এ সময় এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দূরে সরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রস্তাব-১৭০১ যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, যাতে সবাই জানে যে আমরা কোন পথে আছি।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধকে চিরতরে শেষ করতে এবং সমৃদ্ধির নবযুগ সূচনা করতে একটি ফর্মুলা খুঁজে বের করতে লেবানন ও ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহও রয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা
অঘোষিত সফরে উক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তার সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেই দেশটিতে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালায়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ইউক্রেনকে সমর্থন করতে আলোচনার জন্য তিনি এই সফর করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পশ্চিমা অংশীদারদের কাছ থেকে যুদ্ধের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চাপের মধ্যেই অঘোষিত সফরে কিয়েভে পৌঁছেন মার্কিন এই সামরিক কর্মকর্তা।
এক্স প্ল্যাটফর্মে অস্টিন বলেন, ‘তার চতুর্থ এই সফর এটাই প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনের পাশে রয়েছে।’
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে একটি ভয়াবহ রাশিয়ান অভিযান রুখে দিতে অসুবিধায় পড়েছেন কিয়েভ বাহিনী। এর ফলে ধীরে ধীরে বেশ কয়েকটি শহর, গ্রাম এবং গ্রাম ছেড়ে দিতে বাধ্য করছে ইউক্রেনের সেনাদেরকে।
জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের প্রায় তিন বছরের যুদ্ধ শেষ করতে তার ঘোষিত 'বিজয় পরিকল্পনাকে' সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের বৃহত্তম সংঘাত। চলমান এই যুদ্ধে অনেক বেসামরিক নাগরিকসহ উভয় পক্ষের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তার কৌশলের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ এবং রাশিয়ায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি। তবে কিয়েভের মিত্ররা এর আগে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে।
পশ্চিমা প্রতিক্রিয়া ঢিলেঢালা হয়েছে এবং অস্টিন কিয়েভে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হয়েছিল।