তৃতীয় দিনের মত নতুন করোনাভাইরাসে রোগীর সংখ্যা কমছে বলে দাবি করছে চীন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চীন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পুরো চীনে জুড়ে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৯ জন এবং মারা গেছে ১৪২ জন।
গত সপ্তাহে চীন করোনায় আক্রান্তদের গণনায় নতুন একটি পদ্ধতি আনে। যার পর থেকে বেড়ে যায় আক্রান্তের পরিমাণ। কিন্তু গত তিন দিনে তা কমে এসেছে।
চীনা সরকারি তথ্য মতে, চীনে এখন পর্যন্ত মারা গেছে এক হাজার ৬৬৫ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার।
চীনে বাদেও বিশ্বের ৩০টি দেশে ৫০০ জনকে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা গেছে। আর চীনের বাইরে ফ্রান্স, হংকং, জাপান ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছে।
রোববার চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। করোনার প্রভাব কমেছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে চীন এখনো হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান ফেং।
শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান (ডব্লিউএইচও) টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস করোনা মোকাবেলায় বেইজিংয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের বাইরে সংক্রামণের সংখ্যা কম দেখায় আমরা খুশি। করোনায় আক্রান্তের মধ্যে দুই শতাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
নতুন করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) সংক্রামণ রোধে চীনা সরকার প্রায় দশ মিলিয়ন মানুষের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যেই তারা তাদের দৈনন্দিন জীবন কাটাচ্ছে। চীনা সরকারের বেশিরভাগ পদক্ষেপ ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরকে ঘিরে। প্রদেশটি থেকে বাকি চীনকে আলাদা রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বেইজিংয়ে আসা সমস্ত বাসিন্দাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি জানান, হুবেইয়ে সংক্রামণের পরিমাণ যেমন কমছে তেমনি অনেক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এদিকে করোনা রোধে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবহৃত নোটগুলো জীবাণুমুক্ত করতে তা ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তবে চীনা সরকারের এ দাবি মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, করোনা নিয়ে চীনা নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দেখানোর এটি একটি প্রচেষ্টা মাত্র।