কেন ভারত আরও মৃত্যুদণ্ডের রায় দিচ্ছে?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

২০১২ সালে একটি বাসে গণধর্ষণের পর হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় আদালতে অধিকতর গুরু অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকছে।

পৃথিবীব্যাপী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ক্রমশ কমছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে, গত এক দশকের মধ্যে গত বছর মৃত্যুদণ্ড সবচেয়ে কম।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে ভারতে অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়ে থাকে খুন, যৌন সহিংসতার মতো অপরাধে যুক্ত থাকার কারণে। ভারতীয় পেনাল কোড ১৮৬০ এর বিভিন্ন ধারায় এই দণ্ড হয়ে থাকে। এ ছাড়াও অন্যান্য ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে, যাতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।


দিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি বলছে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।

প্রায় ৩৫৪টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে উত্তর প্রদেশে। সংখ্যায় ৯০ নিয়ে এর পরের স্থানে রয়েছে হরিয়ানা। স্বাধীনতার পর থেকে মধ্য প্রদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ৭৩টি।

২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি যৌন সহিংসতায় সঙ্গে সম্পর্কিত হত্যাকাণ্ডে। এর পরিমাণ বিগত বছর থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট 

গত বছর পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানে ২৫০টিরও অধিক মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়, বাংলাদেশে হয় ২২৯টির বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে, ২০১৭ সালে ২৫৯১টি মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিপরীতে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ২৫৩১।

মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ২০১৮ সালে মোট মৃত্যুদণ্ডের ৮০ শতাংশ চারটি দেশে ঘটে। এগুলো হচ্ছে ইরান, সৌদি আরব ভিয়েতনাম এবং ইরাক। তবে প্রতিটি পৃথক দেশের তথ্য-উপাত্ত তেমন একটা নেই।