মুসলিম বিশ্ব সংকটে, বললেন মাহাথির

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, মুসলিম বিশ্ব সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ সংকট উত্তরণে তিনি মুসলিম বিশ্বের নেতাদের ‘বাস্তবায়নযোগ্য‘ সমাধান বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কুয়ালালামপুরে ২০ দেশের অংশগ্রহণে চলমান মুসলিম সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় শহরে গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তারা সবাই কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

৯৪ বছর বয়সী মাহাথির বলেন, ‘আমরা জানি, মুসলিম তাদের ধর্ম ও তাদের দেশ একটি সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমরা সবখানে দেখছি, মুসলিম দেশ ধ্বংস করা হচ্ছে, তাদের নাগরিকদের পালাতে হচ্ছে, অমুসলিম দেশে তাদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।‘

মুসলিম দেশগুলো ও ইসলাম অব্যাহতভাবে অন্তর্ন্দ্বন্দ্ব, গৃহযুদ্ধ ও ব্যর্থ প্রশাসন ও অন্যান্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। কিন্তু এগুলো নির্মূলে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

চলমান সংকট থেকে বের হয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলিম দেশগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানালেও কুয়ালালামপুর সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের বিভক্তির সূত্রপাত হিসেবে। এ সম্মেলনে আয়োজনের বিরোধিতা করেছে সৌদি আরব।

সম্মেলনে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, দেশটি যোগ দিচ্ছে না। তুরস্ক-ইরান-কাতারে অদৃশ্য নেতৃত্বের এই সম্মেলন মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আলোচনার জন্য উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণের কারণে সম্মেলনের বিরোধিতা করছে সৌদি আরব।

বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান, কাতার ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনীতিকভাবে পৃথক হয়ে পড়ার ভয় করছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মাহাথিরের সঙ্গে মঙ্গলবার এক কথোপকথনের সময় সৌদি বাদশা সালমান বলেছেন, মুসলিমদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো ইসলামী সহযোগিতা সংগঠন (ওআইসি)-এর আওতায় হওয়া উচিত।

এই সম্মেলনে সৌদি আরবের অনুপস্থিতিকে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিভেদের লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আপত্তি কারণে শেষ মুহূর্তে সম্মেলনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।