মিয়ানমারের জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে পারে ইইউ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের পোশাক শিল্প, ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের পোশাক শিল্প, ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারকে দেওয়া জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউনিয়ন অব মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউএমএফসিসিআই) চেয়ারম্যান ইউ জাও মিন উইন দেশটির গণমাধ্যমে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তাকে এই বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কী ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে, তা আমার জানা নেই।’

বিজ্ঞাপন

ইইউ ২০১৮ সালের শেষদিকে রাখাইনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ফলস্বরূপ জিএসপি প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা শুরু করে। ২০১৩ সাল থেকে মিয়ানমার এ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক রফতানিতে ইইউ মিয়ানমারকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য দেয়।

কিছুদিন আগে ইইউর জিএসপি নির্ধারক দল মিয়ানমার সফর করে এবং দেশটির ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

ইইউ সদস্য দেশগুলোতে মিয়ানমার রফতানি করা পণ্যের মধ্যে ৬০ শতাংশ যায় পোশাক খাত থেকে। মিয়ানমার থেকে ইইউতে শুল্কমুক্ত রফতানি ২০১৫ সালে ৫৩৫ মিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়ে ২০১৮ সালে আনুমানিক ২.৩ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। জিএসপি প্রত্যাহার করা হলে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গার্মেন্টস খাত। কারণ রফতানি পণ্যের মূলটাই ইইউতে রফতানি হয় পোশাক।

মিয়ানমার গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইউ মিন্ট সো বলেন, ‘আমরা যদি জিএসপি প্রত্যাহার বন্ধ করতে না পারি, তাহলে নতুন বাজার খুঁজে বের করা এবং রফতানি অব্যাহত রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। যদি আমাদের বিদ্যুতের পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং শিপিং ও উৎপাদনশীলতার মতো অন্যান্য খাত উন্নত হয় তাহলেই শুধু শুল্কমুক্ত ছাড়াই আমরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং পরিষেবা এবং আন্তর্জাতিক তহবিলের স্থানান্তরকেও উন্নত করা দরকার। তবুও যদি মিয়ানমার আর জিএসপি সুবিধা না পায়, তাহলে গার্মেন্টস এন্টারপ্রেনারস অ্যাসোসিয়েশনের মতে পণ্য রফতানিতে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।’

ইউ মিন্ট সো বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষে ৫ থেকে ১ শতাংশ লাভ করা এখনই সহজ নয়। জিএসপি সুবিধা না থাকলে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য আমাদের নতুন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইইউ কেবল কম দাম এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে মিয়ানমার থেকে পোশাক কিনছে। শুল্কের কারণে দাম বাড়লে, তারা এখান থেকে আর পণ্য কিনবে না।’