নকল রোধে পরীক্ষার্থীদের মাথায় কার্টন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পরীক্ষার হলের এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়,   ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার হলের এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার হলে নকল রুখতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি কলেজে নেওয়া হল এক আজব কায়দা। কর্ণাটকের ওই বেসরকারি কলেজে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসলেন কার্ডবোর্ডের বাক্স (কার্টন) মাথায় পরে।

কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুর থেকে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার দূরের হাভেরির ভগত প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা এভাবেই পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষা দেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে কার্ডবোর্ডের বাক্স মাথায় পরে পরীক্ষা দিতে বসেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের মিড-টার্ম অর্থাৎ মধ্য-মেয়াদী পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন ওই অদ্ভুত কার্ডবোর্ডের বাক্স মাথায় পরেই।

বিজ্ঞাপন

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে পরিদর্শকদের পরীক্ষার্থীদের ওপর নজর রাখতে দেখা যায়। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এরকম আজব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার সংবাদমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনাটি 'পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য'। 'এই পদ্ধতিকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করার অধিকার কারও নেই। এই বিকৃত কাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মতামতে সায় দিয়েছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য হাস্যকর এবং অবমাননাকর। হ্যাঁ, নকল করা একটি সমস্যা, তবে তা সমাধানের উপায় এটা নয়। যে বা যারা এই ব্যবস্থার অনুমোদন করেছেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তারা।

যদিও এই বিষয়টিকে ন্যায়সঙ্গত বলেই দাবি করে কলেজের প্রধান এমবি সতীশ সাংবাদিকদের বলেন, বিহারের একটি কলেজেও পরীক্ষার সময় নকল ঠেকাতে একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সেই সময় সোশ্যাল সাইটগুলো এই পদ্ধতির ব্যাপক প্রশংসা করেছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্যেই এটি করার চেষ্টা করেছি। আমরা চাই না যে শিক্ষার্থীদের মন অন্যদিকে ঘুরে যাক। বাক্সগুলোর সামনের দিকটি খোলা ছিল। এটি আমাদের কাছে একটা নতুন ধরনের পরীক্ষা ছিল। আমরা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি।

এ বিষয়ে পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের ডেপুটি ডিরেক্টর পীরজাদা বলেন, ১৬ অক্টোবরের ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন আমি কলেজটিতে ব্যক্তিগতভাবে গিয়েছিলাম এবং আমি পরীক্ষার্থীদের মাথা থেকে ওই কার্ডবোর্ডের হেড কভারগুলি সরাতে বাধ্য করেছিলাম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ওই কলেজকে নোটিশ দিয়েছি এবং শিক্ষা পরিচালককে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছি। তদন্ত শেষ হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি, আমরা কলেজ ম্যানেজমেন্টের দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ না করার জন্য শিক্ষার্থীদের বলে এসেছি।