ভারতে মন্দা

মোদি সরকার দোষ চাপাতেই বেশি আগ্রহী: মনমোহন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মনমোহন সিং

মনমোহন সিং

অর্থনীতিকে সংশোধন করার আগে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির সঠিক কারণ নির্ণয়ের প্রয়োজন। ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সরকার সমাধানের পরিবর্তে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতেই বেশি আগ্রহী।

দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বর্তমান সঙ্কটের কারণে প্রকারান্তরে মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলকেই দায়ী করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার বক্তব্যের জবাবে ড. মনমোহন বলেন, আমি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য সবেমাত্র দেখেছি। আমি এই বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি যে, অর্থনীতিকে সংশোধন করার আগে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির সঠিক কারণ নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়। সরকার তা না করে ব্যস্ত রয়েছে অপরপক্ষকে দোষারোপ করতে। সুতরাং তারা এমন কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না যা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মনমোহন সিং।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের ‘যৌথ' আমলে ‘সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে’ ছিল পাবলিক সেক্টরের ব্যাংক (পিএসবি)।

ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স বা ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্র পরিচালিত ব্যাংকগুলির প্রচুর পরিমাণে ঋণ ব্যাংকগুলির দুর্দশার মূল কারণ বলে উল্লেখ করেন নির্মলা সীতারামন।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পাবলিক সেক্টরের ব্যাংকগুলির পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয় যতখানি মনমোহন-রাজনের আমলে ছিল।

গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনের আমলে অবস্থা আরও খারাপ ছিল, তখন আমরা কেউই এত কিছু জানতাম না।

রিজার্ভ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ঋণের ভারে ক্রমশই জর্জরিত হয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলি। ২০১১-১২ সালে যা ছিল ৯,১৯০ কোটি, তাই বেড়ে ২০১৩-১৪ সালে হয়েছিল ২.১৭ লাখ কোটি রুপি। এরপরেই ২০১৪ সালের মে মাসে দেশের ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে। ধারাবাহিকভাবে ২০২১ সাল নাগাদ তা ভালো হয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে উঠতে পারে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক। পরের বছর তা ৭ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।