শৌচাগারে বর সেলফি তুললেই বধূ পাবে টাকা!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান যুগে সেলফি একটি ট্রেন্ড। ঘরে-বাইরে, ভ্রমণে, আচার অনুষ্ঠানে সবাই সেলফি তুলতে পছন্দ করে। চারদিকে যেন সেলফির হিড়িক। তবে সেলফির এই আগ্রাসনকে আরেকটু বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপাল শহর!

কারণ, বিয়ের আগে কোনো বর যদি তার বাড়ির শৌচাগারে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন, তাহলে নববধূ পাবেন ৫১ হাজার রুপি (৬০ হাজার ৭৯২ টাকা)। এই সিদ্ধান্ত সেলফিকে অনুপ্রেরণা দেওয়া নয়, বরং একটি ট্রেন্ডকে পুঁজি করে ভোপাল শহরের স্যানিটশেন ব্যবস্থাকে উন্নত করা।

বিজ্ঞাপন

ঘোষণা অনুযায়ী, ভোপাল শহরের অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নববধূরা পাবেন একান্ন হাজার রুপি। এর জন্য বিয়ের আগে বর এবং কনেকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। আর কনে বরের বাড়িতে গিয়ে শৌচাগার আছে কিনা তা পরিদর্শন করবেন এবং বর নিজ বাড়ির শৌচাগারে গিয়ে একটি সেলফি তুলবেন। এরপর ফরমের সঙ্গে সেলফিটি রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিলেই নববধূ পাবেন এই অর্থ। তবে এই অর্থ পেতে হলে দম্পতিকে বিয়ে করতে হবে গণবিবাহের অনুষ্ঠানে, যা সরকার থেকে পরিচালিত হয়।

এ বিষয়ে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত জারা হাসান কল্যাণ সমিতির পরিচালক মুখতার হাসান দেশটির গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারীদের ফরমগুলো পৌর করপোরেশনে জমা দেই। এতে বরের বাড়ির টয়লেটের মালিকানার প্রমাণ এবং বরের একটি সেলফি প্রয়োজন। যদি তা না দেওয়া হয় তাহলে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হবে। আর দম্পতিরা ছবি জমা না দিলে গণবিবাহে অংশ নিতে পারবে না।’

এই পরিকল্পনার আওতায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোপাল শহরের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি মাঠে একটি গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় একসঙ্গে ৭৭ দম্পতি বিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

গণবিয়েতে অংশ নেওয়া এক বর বলেন, ‘আমি ফরমটি নিয়েছিলাম। তারা ফরমটি পূরণ করে সঙ্গে টয়লেটের ভেতরে তোলা একটি সেলফি জমা দিতে বলেন। তবে আমি সেলফি দিতে আপত্তি জানালে তারা বলেছিলেন, ছবি জমা না দিলে আমার আবেদনটি অনুমোদিত হবে না।’

সেলফি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আরেক বর বলেন, ‘সেলফির পরিবর্তে সংশ্লিষ্টরা বাড়িঘর পরিদর্শন করলে ভালো হয়। তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে টয়লেট আছে কিনা। আমাদের কেন সেলফি জমা দিতে হবে? যেকোনো টয়লেটে ছবি তোলা সহজ বিষয় নয়।’

এদিকে, গণবিয়ের কনে সোফিয়া সরকারি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাড়িতে টয়লেট রয়েছে তা নিশ্চিত করা ভুল নয়। আমি মনে করি, এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত।’

তবে অভিযোগ রয়েছে, সব শর্ত পূরণ করলেও অনেকেই এই ঘোষিত অর্থ পাননি।