কর্ণাটকের বিধান সভায় টিভি ক্যামেরা নিষিদ্ধ!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিধান সভায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে। বেসরকারি চ্যানেলের সংবাদকর্মীরা অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারলেও তারা সঙ্গে নিতে পারবে না কোনো ধরনের ক্যামেরা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিধান সভার স্পিকার বিশ্বেসর হেগড়ে কাগেরি নুতন এই নিয়মের কথা জানান। আজ থেকে সেখানে আইনসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নিয়মের পরিবর্তনের কথা জানিয়ে বিশ্বেসর হেগড়ে বলেন, অধিবেশনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে তারা অধিবেশনে বসে দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও অধিবেশন কক্ষের বাইরে জমা রেখে দিতে হবে।

অধিবেশনের নতুন নিয়মে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরাপ্পা সকালে একটি টুইট করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই টুইটিটি তিনি মুছে ফেলেন।

সেই টুইটে বলা হয়, আমরা সরকার সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অধিবেশনের কর্মকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা যেন স্পিকার তুলে নেন সে বিষয়ে তাকে অনুরোধ করা হবে।

এক্ষেত্রে বেসরকারি চ্যানেল না পারলেও রাষ্ট্রীয় চ্যানেল দূরর্দশন সংসদের অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে।

এদিকে বিধান সভার নতুন এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে সরকারবিরোধী দল। কংগ্রেস নেতা ভিএস উগ্রাপ্পা এনডিটিভিকে বলেন, সরকারের নির্দেশেই স্পিকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ছাড়া কিছুই নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রোধ করেছে সরকার।

কংগ্রেসের সাবেক মন্ত্রী প্রিয়াঙ্কা খাগড়ে বলেছেন, কর্ণাটকের মতো রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি আশ্চর্যজনক। বন্যা, খরার মতো দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যর্থতাকে আড়াল করতেই হয়ত সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যদিয়ে তারা দেখাতে চায় রাজ্যে সবকিছুই ঠিকমতো চলছে।

প্রসঙ্গত, কয়েকবছর আগে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন পর্নোগ্রাফি দেখা অবস্থায় বিজেপির তিনজন মন্ত্রী টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন। সেই তিনজনের একজন লক্ষণ সাভাদি এখন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী।