আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগদান করা শামীমা খাতুন যুক্তরাজ্যে ফিরতে চায়। তার ফেরা নিয়ে বিট্রিশ স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেন, আইএস বধূ শামীমা খাতুনের ফেরার আর কোনো সুযোগ নেই।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দ্যা সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি এ কথা বলেন।
বিট্রিশ স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের কাজ দেশকে সুরক্ষা করা। তাই এমন কাউকে যুক্তরাজ্যে থাকতে দিতে পারি না যারা আমাদের ক্ষতি করবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমি এ দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর মতো সক্রিয় সমর্থক বা প্রচারক কাউকে থাকার অনুমতি দিতে রাজি নই।
তিনি আরো বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যের সাধারণ জনসাধারণকে বিপদে ফেলবে।
প্রসঙ্গত শামীমার জন্মভূমি বাংলাদেশে তবে সে যুক্তরাজ্যে বাস করত। শামীমা স্কুলের দুই বন্ধুর সঙ্গে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়ে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসে যোগ দেন। সেখানে তাঁর তিনটি বাচ্চাও মারা যায়। বর্তমানে শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে আগ্রহী।
কিন্তু এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। বর্তমানে সে সিরিয়ার একটি অন্তর্বর্তী শিবিরে আছে।
বাংলাদেশ তাঁর মাতৃভূমি যেখানে তিনি থাকতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেছিলেন সেখানেও প্রবেশ করতে পারছেন না শামীমা।
১৫ বছর বয়সে ডাচ আইএস যোদ্ধা ইয়াগো রিডিজককে বিয়ে করেছিলেন এবং তিন বছর সন্ত্রাসবাদী দলের সঙ্গে থাকাকালীন তাঁর তিনটি সন্তান জন্মেছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর তিনটি সন্তানই অল্প বয়সে মারা যায়। তৃতীয় শিশুটি গত ফেব্রুয়ারিতে শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করে।
শামীমা খাতুন এখন আইএসকে ঘৃণা করেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি সেখানে কেবল বাচ্চা জন্ম দিয়েছি।