আনোয়ার আলসালেহ ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিন থেকে নিউজিল্যান্ডে আসেন। বসবাসের জন্য নিউজিল্যান্ডের ভালো সুখ্যাতি থাকায় নিজ জন্মভূমি ছেড়ে সেখানে পাড়ি জমান। কিন্তু শান্তিতে বসবাসের জন্য শান্তিময় দেশে আসলেও চোখের সামনেই দেখতে হয়েছে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের সময় আনোয়ার মসজিদেই ছিলেন। কিন্তু নামাজের অজু করার জন্য তিনি যান বাথরুমে।
আর সেখানে থেকেই দেখলেন ভয়াবহ এই হত্যাযজ্ঞ। এ সময় তার বাথরুমের আশপাশ দিয়ে বন্দুকধারী বেশ কয়েকবার আসা যাওয়া করেছেন।
হামলার সময় তিনি বেশ কয়েকবার পুলিশের হেল্প লাইনে কল দিলেও কেউ রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে উপায় না পেয়ে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের নাম্বারে ফোন দেন। এরপর বলেন, 'এখানে বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ চলছে। দয়া করে সহায়তা করুন এবং পুলিশে খবর দিন।'
এ সময় তিনি হামলাকারীর মুখে বলতে শুনেছেন, ‘বোকা মুসলিম! আজকে শেষ করে ফেলবো।’
এভাবেই শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিলেন বেঁচে যাওয়া আনোয়ার আলসালেহ।
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জর্ডান থেকে আসা আরেকজন ঘটনার বর্ণনায় উঠে আসে, তার ছেলেকে সুন্দর পরিবেশে বড় করার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু এখানেও এরকম হামলা দেখতে হবে তিনি কখনো ভাবেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি বন্দুকধারী সচরাচর গুলি চালাচ্ছে এ শব্দ শুনেছি। আমি মনে করেছিলাম বৈদ্যুতিক গোলযোগ। কারণ আমি নিউজিল্যান্ডে এর আগে এসব শুনিনি। আমি পেছনের দরজা দিয়ে দেয়াল টপকে পার হয়েছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১টা ৪০ (নিউজিল্যান্ড সময় অনুযায়ী) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছে। আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।