দেশজুড়ে প্রচারের পর নিজের কেন্দ্রে ঝাঁপাবেন মোদি

  • কলকাতা ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি/ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি/ ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি, বিজেপির সবেধর নীলমণি তিনিই। তিনিই বিজেপির সেনাপতি। তাঁর উত্থান বিজেপির বাড়ন্ত, তাঁর জনপ্রিয়তা কমলে এবারে বিজেপিও শেষ! 

সুতরাং ৫৪৩টি লোকসভা আসনে তাঁর দল ও জোটের প্রতিটি প্রার্থীই চাইছেন তিনি যেন একবার অন্তত তাদের কেন্দ্রে প্রচারে যান। তাই বিজেপির অন্দরে বাছাইপর্ব চলছে তারকা প্রচারকদের তালিকা। কবে কোথায় ভিভিআইপিরা ক্যাম্পেনে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এই ক্যাম্পেইনের তালিকা নামেই। পাঁচ বছর পর আজও দলের মধ্যমনি একজনই। নরেন্দ্র দামোদর মোদি। তাঁকে সামনে রেখেই ভোটের তরী সাজাচ্ছে বিজেপি। তাই যতো বেশি সম্ভব কেন্দ্রে তাঁকেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। 

এবার মোদির নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে সর্বশেষ অর্থাৎ সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ হওয়ায় বিজেপি অনেকটাই স্বস্তিতে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীকে শুরুতেই নিজের কেন্দ্রে আটকে থাকতে হবে না। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের প্রথমার্ধ- প্রায় আড়াই মাস ধরে মোদি দেশের সর্বত্র প্রচারের পর শেষ পর্যায়ে বারাণসীতে নিজের লোকসভা আসনে প্রচারে নামবেন।  

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হবে একেবারে শেষ দফায়। অর্থাৎ ১৯ মে। গোটা দেশ তো বটেই, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ এবার বিজেপির কাছে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। কারণ মোদির নিজের কেন্দ্রে জয় ধরে রাখার পাশাপাশি এই ১৩টি আসনের সিংহভাগই জিততে হবে।

সাম্প্রতিক একের পর এক উপনির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বার্তাই এসেছে বিজেপির জন্য। গোরক্ষপুরে ৩০ বছর পর হেরে গিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কারণ উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।

সুতরাং, একদিকে মোদিকে যেমন গোটা দেশে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর জন্য কয়েকশো সভায় ছুটতে হবে, তেমনই তাঁকে চিন্তায় রাখবে, ঐ আড়াই মাস তাঁর নিজের কেন্দ্র বারাণসীসহ উত্তরপ্রদেশ। কারণ, এখানে যে প্রিয়াঙ্কা ঝড় তুলবেন তা জানেন মোদি। 

একদিকে জাতীয় স্তরে যেমন মোদিকে লড়তে হবে রাহুলের সঙ্গে, পরোক্ষেভাবে নিজের কেন্দ্রে তাঁর লড়াই হবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। যদি বারাণসীতে মোদির জয়ের মার্জিন কমে যায় কিংবা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কেন্দ্রগুলোতে গতবারের তুলনায় ফলাফল খারাপ হয়, তাহলে সেটা হবে প্রিয়াঙ্কার পক্ষে ইতিবাচক। আর তা ঠেকাতেই শেষ দফার জোর কদমে নির্বাচনী প্রচারে নিজ কেন্দ্রে ঝড় তুলতে চান মোদি। 

উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ২০১৪ সালে ৭৩টি আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি জোট। কিন্তু সেবার অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর জোট হয়নি। এবার জোটের কারণে বিজেপির পক্ষে ঐ আসন ধরে রাখা আদৌ কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বস্তুত, রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার বিজেপির আসন সংখ্যা সামগ্রিকভাবে অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর তাই সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এবারও বিজেপির সব থেকে বড় আশা-ভরসা একমাত্র নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি মনে করছে একমাত্র মোদিই পারেন পরিস্থিতি ঘোরাতে। তাই প্রতিটা কেন্দ্রেই যাওয়ার আবদার এসেছে মোদিজীর কাছে।