পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা প্রবল

  • কলকাতা ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে মহাজোটের সম্ভাবনা প্রবল ভাবে দানা বাঁধছে। দিল্লিতে বিরোধীদের এক বৈঠক শেষে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে সরাসরি বলেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের উচিত পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবং দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে জোটে যাওয়া। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতিরও একান্তে কিছুক্ষণ আলাপ হয়েছে।
 
তবে জোটের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গে, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবল আপত্তি আছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু বলেছেন, রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের আপত্তিকে যেন খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া না হয়। দেশের স্বার্থ এবং বিরোধী ঐক্যের কথা ভেবে রাহুলের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। রাহুল যেন জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বদের জানিয়ে দেন, এখনই সময় বিজেপি রোখার।  এছাড়াও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী রাহুলকে অনুরোধ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে চাহিদামতো আসন না হলেও কংগ্রেসের উচিত পশ্চিমবাংলা ও দিল্লিতে মহাজোট করা। যদি এভাবে মহাজোট হয় তাহলে বিজেপি বিপাকে পড়তে বাধ্য। চন্দ্রবাবুর এই অনুরোধের পরই মমতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ একান্তে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। 
 
খবর মারফত সেই আলাপ যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই মহাজোটের পক্ষেই আছেন। মমতার নীতি অনুযায়ী যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তারাই বিজেপির মোকাবিলা করবে। অন্য দলগুলির উচিত তাদের সহায়তা করা। এই কারণে মমতা গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডে প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৩ দলকে নিয়ে মহাজোটের এক মহাসমাবেশ করেছিলেন। 
 
যেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে নেতাদের মধ্যে ছিলেন কর্ণাটকের জনতা দল (সেক্যুলার) নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, ওই দলেরই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের অন্যতম নেতা তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের নেতা এমকে স্টালিন, বিহারের লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শারদ যাদব, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা শারদ পাওয়ার, ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির বিদ্রোহী নেতা যশোবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা ও অরুণ শৌরি, ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চার নেতা বাবুলাল মারান্ডি, অরুণাচলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত, বহুজন সমাজপার্টির নেতা সতীশ মিশ্র, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং।