আমেরিকার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত, প্রতিশোধ নেবে রাশিয়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার(৪ জানুয়ারি) সকালে ইউক্রেনের ছোঁড়া আটটি আমেরিকার তৈরি ATACMS( Army Tactical Missile System) ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া। এরপর তারা এই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ৭২টি বিমান-সদৃশ্য মানবহীন আকাশযান (ইউএভি) সহ আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে৷ পাশাপাশি এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার কথাও জানিয়েছে রাশিয়া। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে উত্তর-পশ্চিমে লেনিনগ্রাদ অঞ্চলে এবং একটি কুরস্কে বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, যেখানে গত গ্রীষ্মের শেষের দিকে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করেছিল।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি বিমানবন্দরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন গত নভেম্বর মাসে কিয়েভে ATACMS ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র "ওরেশনিক" দিয়ে ATACMS ব্যবহার করে ইউক্রেনের হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। পশ্চিমা সরবরাহকৃত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা হিসাবে রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ চালানো হতে পারে বলে গত মাসে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুতিন ।

লেনিনগ্রাদ ওব্লাস্টের গভর্নর আলেক্সান্ডার ড্রোজডেনকো টেলিগ্রামে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "৪ জানুয়ারির রাত এবং সকালের হামলাটি আগের থেকে রেকর্ড-ব্রেকিং ছিল। তার অঞ্চলে চারটি গুলি করা হয়েছিল বলেও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেছেন, লেনিনগ্রাদের একটি সমুদ্রবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাতারাতি ইউক্রেনে মোট ৮১টি ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্ক অঞ্চলের নাদিয়া গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ডোনেটস্কে, পোকরভস্কের কেন্দ্রস্থলটি ক্রমবর্ধমান রাশিয়ান চাপের মধ্যে রয়েছে। কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরের দক্ষিণ এবং পূর্বে স্থলের দখল হারিয়েছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেনে আমেরিকার সামরিক সহায়তা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ইউক্রেন। ট্রাম্প নিজেও সংঘাত অবসানের অঙ্গীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন