ঘুষকাণ্ডে ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা, কারাগারে না পাঠানোর ইঙ্গিত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিউইয়র্কে ঘুষের মামলায় সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হোয়াইট হাউজের প্রথম সদস্য হিসেবে নাম লেখালেন তিনি। এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে আগামী ১০ জানুয়ারি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান মি. এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে, বিচারক ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা না দিয়ে 'শর্তহীন খালাস' দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিচারক জুয়ান মার্চান মি. তার আদেশে লিখেছেন, মি. ট্রাম্প সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে এ মামলায় নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ক্ষতি করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দেয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারকের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সেখানে তিনি, 'অবৈধ রাজনৈতিক হামলা' এবং ওই মামলাকে একটি 'সাজানো পরিহাস' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ট্রাম্পের মুখপাত্র বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং উইচ হান্টিংর নামে তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।" তিনি আরও বলেন, ‘কোন দণ্ড হওয়া উচিত নয় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার লড়াই অব্যাহত রাখবেন।’

বিচারক মার্চান জানিয়েছন, এ ক্ষেত্রে তার হাতে যেসব বিকল্প আছে তার একটি হলো দণ্ডাদেশ বাস্তবায়ন করে ২০২৯ সালে তার হোয়াইট হাউজ ছাড়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা কিংবা দণ্ড দিলেও তার সাথে জেলে থাকার বিষয়টি থাকবে না।
বিশে জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে যে আদেশ দিয়েছিলো, সেটিকে আদালতের সামনে যুক্তি হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করে সফল হননি। গত জুলাই সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ দিয়েছিলো। গত মাসে ট্রাম্পের ঘুষের মামলা খারিজ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিলো তা খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক মার্চান।

ট্রাম্প এখন হোয়াইট হাউজের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দণ্ড পেতে যাচ্ছে। তবে দণ্ড পাওয়ার পর তিনি আপিলের উদ্যোগ নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে নথি জালিয়াতির মামলায় চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে কিন্তু নূন্যতম দণ্ড বা কারাবাস অবশ্য পালনীয় নয়।

উল্লেখ্য, পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেয়ার বিষয়টি জালিয়াতির মাধ্যমে নথিতে গোপন রাখার বিষয়ে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিলো। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিকে মি. ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ওই অর্থ ড্যানিয়েলসের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।