টিউলিপকে ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন হাসিনার ঘনিষ্ঠ ডেভেলপার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এক ডেভেলপারের থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক একটি ফ্ল্যাট উপহার পেলেও তিনি তার কোনো নির্বাচনী হলফনামায় এই তথ্য প্রদান করেন নি। 

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময়ে দিবাগত রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ফাইনেন্সিয়াল টাইমস’

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিং’স ক্রস এলাকায় ২ শয্যার ফ্ল্যাট টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার। মোতালিফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন বলেও জানিয়েছে দ্য ফাইনেন্সিয়াল টাইমস। 

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে আরও উল্লেখ করেছেন, ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আবাসন ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফের দুর্দিনে তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা-বাবা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পদ’ টিউলিপকে দিয়েছিলেন।

বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। ওই এলাকায় মোতালিফের ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বসবাস করেন। মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোল ডেটার তথ্য অনুসারে, ২০০৪ সালে উপহার হিসেবে পাওয়ার পর কিংস ক্রসের সেই ফ্ল্যাটটিতে কয়েক বছর ছিলেন টিউলিপ। তারপর তার অন্য ভাই-বোনরা ছিলেন আরও বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন টিউলিপ। সেখান থেকে বাৎসরিক ৯০ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) উপার্জন হচ্ছে তার।

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসনে চার বার প্রার্থী হয়েছেন টিউলিপ, প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত লেবার পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য শাখার ‘লবিং ইউনিট অ্যান্ড ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি টিম’-এ সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। তার নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রেও এ সংশ্লিষ্টতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

তবে কোনো নির্বাচনী হলফনামায় এই ফ্ল্যাটের বিষয়ে উল্লেখ করেননি টিউলিপ। হলফনামায় শুধু যুক্তরাজ্যের হাইগেট এবং হ্যাম্পস্টেড এলাকায় ফ্ল্যাটের ব্যাপারে উল্লেখ করেছিলেন।