মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ডেকেছে ভারত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ জান্তাবিরোধী শক্তিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় একটি সেমিনারে বিদ্রোহীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের’ আয়োজনে ওই ইভেন্ট নভেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে। আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেওয়া জান্তা বাহিনীর বিরোধিতা করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগসূত্র চিহ্নিত হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে ভারতের এমন উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গৃহযুদ্ধরত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে ভারত এমন এক সময়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

এদিকে দেশটিতে যখন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ একটি পূর্ণমাত্রার বিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার তার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। ফলে তাদের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনাকেও অস্বীকার করে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী।

তবে, ভারতের আমন্ত্রণে মিয়ানমারের শিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির মতো বিদ্রোহী দলগুলোর নেতারা ইতিমধ্যে সাড়া দিয়েছেন। সেমিনারে অংশ নেবেন বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও ভারত এই বাহিনীর সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কারণ, ভারত আশঙ্কা করে, সম্পর্ক ধরে না রাখলে জান্তা বাহিনী চীনের দিকে আরও বেশি মাত্রায় ঝুঁকে যেতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতিপূর্বে ভারতের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারকে জড়িত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই উদ্যোগ দেশটির নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো মোকাবিলার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। সেদিক থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংলাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে ভারত।