ধর্নায় বসেছেন মমতা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মঘটে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় / ছবি: সংগৃহীত

ধর্মঘটে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় / ছবি: সংগৃহীত

সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই’র তল্লাশির চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন (ধর্মঘট) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ঘটনায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের অভিযোগ তোলেন।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানের প্রেক্ষিতে এ ধর্মঘটে বসেছেন তিনি। রোববার বিকেলে হঠাৎ কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। এসময় কমিশনারের বাড়িতে মোতায়েন পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেন।

বিজ্ঞাপন

শুধু বাধা দেয়াই নয় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় সিবিআই কর্মকর্তাদের। এমন সময় কলকাতা পুলিশ জোরপূর্বক সিবিআই কর্মকর্তাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। তিনি সেখানে গিয়ে মোদি আর অমিত শাহের বিরুদ্ধে বাংলায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে অবস্থান ধর্মঘটে বসে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্যে করে মমতা বলেন, ‘মোদি পাগল হয়ে গিয়েছেন৷ ওরা জানে আর ক্ষমতায় ফিরবে না৷ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এ সব করছে৷ সর্বত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করছে৷ কেউ মাথা নত করবেন না৷ ওরা বিভেদের রাজনীতি করছে৷ প্রতিহিংসার রাজনীতি৷ রাজনৈতিক ভাবেই এর মোকাবিলা হবে৷ কেউ অবরোধ করবেন না৷ মানুষের সমস্যা হবে৷ প্ররোচনায় পা দেবেন না৷'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/04/1549247554462.jpg

ধর্মঘট থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য তৃণমূলকে পথে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী ও শাসক বিজেপির হাত থেকে দেশ ও সংবিধান বাঁচাতে সোমবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেক নেতা। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু টুইটারে লিখেছেন, ‘এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে নেমেছেন। আমরা তার পাশে আছি।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া টুইটারে লিখেছেন, ‘পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করতে সিবিআই হানা বাংলায়! এই মুহূর্তে সেখানে যা হচ্ছে, তাতে হতবাক আমি। জরুরি অবস্থার সময় এরকম অসাংবিধানিক আচরণ ঘটত। এই মুহূর্তে বাংলার পরিস্থিতি সেরকমই।’

অপরদিকে ওই ঘটনায় রোববার রাতে কলকাতার নিজাম প্যালেসে অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। সিবিআইয়ের পরবর্তী অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্লা সোমবার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সংস্থার আধিকারিকদের হেনস্থার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন কর্মকর্তারা।