রাশিয়ায় হামলার কথা স্বীকার করলেন জেলেনস্কি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা আড়াই বছরের যুদ্ধে এই প্রথমবার সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা করার কথা স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়ার পশ্চিমে কুরস্ক অঞ্চলের ২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী।

রোববার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদেন বলা হয়, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১০ কিমি (ছয় মাইল) এরও বেশি এলাকাজুড়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক একটি শহরও দখল করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রায় রুশ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এটিই এখন পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনীর সবচেয়ে বড় অগ্রগতি। রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে ইউক্রেন তার অভিযান শুরু করার পাঁচ দিন পরে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন। ইউক্রেনের এই আক্রমণের ফলে রাশিয়া সীমান্তের উভয় পাশ থেকে জনসাধারণকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের সেনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কির সঙ্গে রাশিয়ায় অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছি। ইউক্রেন প্রমাণ করছে, তারা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে পারে ও আক্রমণকারীর ওপর প্রয়োজনীয় চাপ নিশ্চিতও করতে পারে।

এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও সুমি অঞ্চলে রোববার (১১ আগস্ট) ভোরে বিস্ফোরণের সংবাদ পাওয়া গেছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সক্রিয় রয়েছে ও শহরে বিমান হামলার সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে দেওয়া বার্তায় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে সতর্ক করেছেন। এছাড়া কিয়েভসহ এর আশপাশের অঞ্চল ও পূর্ব ইউক্রেনের পুরোটাই বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে রয়েছে।

এছাড়া রোববার মাঝরাতে কুরস্কে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েয়ছেন এই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া বলেছে, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানসহ ইউক্রেনের এক হাজার সৈন্য গত মঙ্গলবার সকালে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এরপর থেকে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে এবং আঞ্চলিক শহর সুদজা দখল করে নেওয়ার হুমকি সৃষ্টি করেছে বলেও জানা গেছে। তবে সেখানে রুশ সেনারা সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।